পশ্চিম গারো পাহাড়ে স্থগিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্প শেষ করতে মেঘালয় মন্ত্রিসভায় ₹৩০ কোটি বরাদ্দ, নতুন হাইড্রো প্রকল্পেও সবুজ সংকেত

শিলং, ৫ জুন : পশ্চিম গারো হিলস জেলার তুরায় স্থগিত হয়ে থাকা গানোল স্টেজ-I ক্ষুদ্র জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সম্পূর্ণ করার জন্য মেঘালয় মন্ত্রিসভা অতিরিক্ত ₹৩০ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে প্রকল্পটির মোট ব্যয় দাঁড়াল ₹৫৯০.৮৮ কোটি। দীর্ঘ বিলম্বের পর অবশেষে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হয়েছে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার আরও একাধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। এর অংশ হিসেবে বহু বছর ধরে বন্ধ হয়ে থাকা কিনশি স্টেজ-I হাইড্রো প্রকল্প পুনরুজ্জীবিত করতে অ্যাথেনা প্রজেক্টস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে একটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রথমে ৪৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পরিকল্পনা থাকলেও কারিগরি সমীক্ষায় প্রকল্পটির বাস্তব ক্ষমতা ২৭০ মেগাওয়াট হিসেবে নির্ধারিত হওয়ায়, খরচজনিত কারণে কাজ থেমে যায়। অ্যাথেনা কোম্পানিও কম উৎপাদন ক্ষমতা ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের কারণে আগ্রহ হারিয়েছিল।

পাম্প স্টোরেজ ও সৌরবিদ্যুৎ উপাদান যোগ করার প্রয়াসও কেন্দ্র সরকারের নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী অকার্যকর হয়ে পড়ে। তবুও রাজ্য সরকার অ্যাথেনার পূর্বে করা পরিবেশগত ছাড়পত্র ও স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে গঠিত সম্পর্ক বিবেচনায় নিয়ে প্রকল্পটি এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এছাড়াও, রিয়াংদো ক্ষুদ্র জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষমতা ৩ মেগাওয়াট থেকে ৬ মেগাওয়াটে উন্নীত করতে ₹১৪ কোটি বরাদ্দ করেছে মন্ত্রিসভা। আইআইটি রুরকির একটি বিস্তারিত সমীক্ষায় প্রকল্পটির সম্প্রসারণ সম্ভাব্য ও লাভজনক বলে প্রমাণিত হয়েছে।

সরকার আরও দুটি বেসরকারিভাবে অর্থায়িত হাইড্রো প্রকল্পকে অনুমোদন দিয়েছে, যেগুলো থেকে রাজ্য সরকার নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পাবে। ২৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার নঙমের ক্ষুদ্র জলবিদ্যুৎ প্রকল্প একটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় চালু হবে, যেখানে রাজ্য সরকার উৎপন্ন বিদ্যুতের ৩০ শতাংশ কিনবে এবং অতিরিক্ত ১২ শতাংশ বিনামূল্যে পাবে।

একইভাবে, উমরান বেসিনে ১৩.৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার উমরান হাইড্রো প্রকল্পও একই কাঠামোর অধীনে অনুমোদন পেয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করবে জেএমবি একুয়া প্রাইভেট লিমিটেড।

এই সমস্ত প্রকল্পের মাধ্যমে মেঘালয়ের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছে সরকার।