২০২৭ সালের আদমশুমারি হবে দু’টি ধাপে, জাতি গণনাও হবে একসঙ্গে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ঘোষণা

নয়াদিল্লি, ৪ জুন : দেশের পরবর্তী আদমশুমারি ২০২৭ সালে দু’টি ধাপে পরিচালিত হবে এবং এই প্রথমবারের মতো জাতি নির্ধারণ তার সঙ্গে একত্রে সম্পন্ন হবে বলে জানাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “জনগণনার রেফারেন্স ডেট হবে ২০২৭ সালের ১ মার্চ,” যা দেশের অধিকাংশ অংশের জন্য প্রযোজ্য। তবে লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের তুষারাবৃত অ-সমন্বিত অঞ্চলগুলির জন্য রেফারেন্স ডেট হবে ২০২৬ সালের ১ অক্টোবর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, আগামী ১৬ জুন নাগাদ এই রেফারেন্স ডেট-সহ আদমশুমারি পরিচালনার বিষয়ে সরকারী গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে, যা ১৯৪৮ সালের “সেনসস এক্ট”-এর ধারা ৩ অনুযায়ী বাধ্যতামূলক।

এই আদমশুমারি আগের নিয়ম অনুযায়ী দুই ধাপে পরিচালিত হবে। তাতে, প্রথম ধাপে গৃহ তালিকা প্রস্তুতি এবং দ্বিতীয় ধাপে জনসংখ্যা গণনা হবে। ২০১১ সালের আদমশুমারিও একই পদ্ধতিতে হয়েছিল। সেবার প্রথম ধাপ চালানো হয়েছিল ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১০ পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় ধাপের জনসংখ্যা গণনা হয়েছিল ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১-র মধ্যে। সেই সময়েও রেফারেন্স ডেট ছিল ১ মার্চ, তবে তুষারাবৃত অঞ্চলগুলির জন্য ছিল ১ অক্টোবর।

২০২১ সালের আদমশুমারিও একই ধাপে হওয়ার কথা ছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম ধাপ শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে এবং দ্বিতীয় ধাপ ফেব্রুয়ারি ২০২১-এ। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ফিল্ড ওয়ার্কের যাবতীয় প্রস্তুতিও সম্পূর্ণ হয়েছিল। কিন্তু, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এই কর্মসূচি স্থগিত হয়ে যায়।

২০২৭ সালের আদমশুমারি “সেনসস এক্ট, ১৯৪৮” এবং “সেনসস রুলস, ১৯৯০” অনুসারে পরিচালিত হবে। এটি হবে ভারতের প্রথম ডিজিটাল আদমশুমারি, যেখানে নাগরিকরা নিজেরা অনলাইনে তথ্য আপলোডের সুযোগ পাবেন। জাতি ভিত্তিক এই গণনার মাধ্যমে দেশের সমাজ ও অর্থনীতির গভীর তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।