আন্না বিশ্ববিদ্যালয় ধর্ষণ মামলা: চেন্নাই আদালতে গনাসেকরণকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ন্যূনতম ৩০ বছরের কারাদণ্ড বাধ্যতামূলক

চেন্নাই, ২ জুন : চেন্নাইয়ের মহিলা আদালত সোমবার আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত একমাত্র আসামি এ. গনাসেকরণকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। আদালত জানিয়েছে, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি ন্যূনতম ৩০ বছর জেল খাটতেই হবে, এই সময়ের মধ্যে কোনোভাবে মুক্তির সুযোগ থাকবে না। আদালত অভিযুক্তের ওপর ৯০,০০০ টাকা জরিমানাও ধার্য করেছে।

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পর রাজ্যজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত গতিতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং তা চূড়ান্ত রায়ে পৌঁছায়। মহিলা আদালতের বিচারক এম রাজলক্ষ্মী ২৮ মে গনাসেকরণকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং মামলার সময় প্রমাণিত ১১টি ধারায় সাজা ঘোষণা করেন। বিচারক জানান, সমস্ত সাজা একসাথে কার্যকর হবে।

এদিকে, গনাসেকরণের আইনজীবী বি.আর. জয়প্রকাশ নারায়ণ জানিয়েছেন, তারা উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। নারায়ণ বলেন, “আমাদের কাছে আরও ভালভাবে আপিল করার সুযোগ আছে। আদালত থেকে সমস্ত কাগজপত্র পাওয়ার পর আমরা উচ্চ আদালতে যাব।”

২০২৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর কোট্টুরপুরম অল উইমেন পুলিশ স্টেশনে ভুক্তভোগী নিজের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, ভুক্তভোগী তার এক পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে থাকার সময় গনাসেকরণ তাকে হুমকি দেন ও যৌন নির্যাতন চালান। এই মামলার এফআইআর তামিলনাড়ু পুলিশের সিসিটিএনএস ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে কিছু গণমাধ্যম প্রচার করে, যা জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করে।

পরে মাদ্রাজ হাই কোর্ট মামলার তদন্ত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের (এসআইটি) হাতে তুলে দেয়। তারা এফআইআর ফাঁসের বিষয়টিও তদন্ত করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট জমা দেয় এসআইটি। এরপর মামলাটি মহিলা আদালতে স্থানান্তর করা হয়। মহিলা আদালত গনাসেকরণের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (বিএনএস), বিএনএসএস, তথ্যপ্রযুক্তি আইন এবং তামিলনাড়ু নারী হয়রানি প্রতিরোধ আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ গঠন করে।