উদয়পুর, ১ জুন: শনিবার উদয়পুর ব্রহ্মাবাড়ী এলাকায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সিএনজি গ্যাস বহনকারী গাড়ি ও অটোচালকেরা। ট্রাফিক পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের বিরুদ্ধে গাড়িচালককে গালিগালাজ ও গাড়ির চাকায় লক লাগানোর অভিযোগ ঘিরেই এই উত্তেজনার সূত্রপাত।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, সিএনজি বহনকারী একটি গাড়ি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকায় তাতে লক লাগিয়ে দেয় উদয়পুর ট্রাফিক ইউনিট। অভিযোগ, সেই সময় জাতীয় সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক। জাতীয় সড়কে ট্রাফিক জ্যামের কারণ দেখিয়ে ওই গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন ডিএসপি মিনাল কান্তি দাস।
সিএনজি চালকদের অভিযোগ, শুধু লক লাগিয়েই ক্ষান্ত হননি ডিএসপি, গাড়িচালককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেন। এর প্রতিবাদে সমস্ত সিএনজি গ্যাস বহনকারী চালকেরা একযোগে গ্যাস বিতরণ বন্ধ করে দেন। ফলে উদয়পুর মহকুমার সব সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন অটো চালকেরাও গ্যাস না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। অল্প সময়ের মধ্যেই অটোচালক ও সিএনজি চালকেরা একত্রিত হয়ে ব্রহ্মাবাড়ী এলাকায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পিচের রাস্তা থেকে অনেক নিচে রাখা গাড়িতে লক লাগানো এবং চালককে গালিগালাজ করার অভিযোগেই এই অবরোধ শুরু হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান উদয়পুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক নির্মাণ দাস ও রাধা কিশোরপুর থানার পুলিশ। প্রায় দেড় ঘণ্টা চলা এই অবরোধ শেষে নির্মাণ দাসের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এর মধ্যে জাতীয় সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
পরবর্তীতে সিএনজি চালকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে ডিএসপি মিনাল কান্তি দাস বিষয়টি ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ বলে ব্যাখ্যা দেন এবং ক্ষমার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও চালকদের মধ্যে অসন্তোষ এখনো পুরোপুরি কাটেনি।

