প্রাক্তন সেবি চেয়ারপার্সন মাধবী পুরি বুচের হিন্ডেনবার্গ সংক্রান্ত মামলায় বড়সড় স্বস্তি, সমস্ত অভিযোগ খারিজ করল লোকপাল

নয়াদিল্লি, ২৮ মে : প্রাক্তন সেবি চেয়ারপার্সন মাধবী পুরি বুচ হিন্ডেনবার্গ সংক্রান্ত মামলায় বড়সড় স্বস্তি পেলেন। লোকপাল অভিযোগগুলি খারিজ করে জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের কোনও যৌক্তিক বা প্রমাণসাপেক্ষ ভিত্তি নেই। লোকপালের মতে, অভিযোগগুলি অনুমাননির্ভর এবং যাচাইযোগ্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে নয়।

২৮ মে জারি আদেশে লোকপাল জানিয়েছে, “আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে অভিযোগগুলি মূলত অনুমান ও কল্পনার উপর ভিত্তি করে গঠিত এবং তা কোনো যাচাইযোগ্য উপাদান দ্বারা সমর্থিত নয়। অভিযোগগুলিতে ১৯৮৮ সালের আইনের পার্ট থ্রি অনুযায়ী অপরাধের উপাদান নেই, যার ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া যায়। তাই এই অভিযোগগুলি খারিজ করা হলো।” লোকপালের আদেশে আরও বলা হয়েছে, “অভিযোগকারীরা সচেতনভাবে মূল প্রতিবেদনের বাইরে গিয়ে কিছু স্বতন্ত্র অভিযোগ আনার চেষ্টা করলেও বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সেগুলিও গ্রহণযোগ্য নয়, ভিত্তিহীন ও প্রায় তুচ্ছ ধরনের।”*

লোকপাল পাঁচটি প্রধান অভিযোগ খতিয়ে দেখেছিল। প্রথমত, মাধবী বুচ এবং তাঁর স্বামী ধবল বুচ আদানি গ্রুপ-সংযুক্ত একটি ফান্ডে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করেছেন। দ্বিতীয়ত, মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রা (এমএন্ডএম) ও ব্ল্যাকস্টোন ইনক.-এর মতো সংস্থার কাছ থেকে কনসালটেন্সি ফি-র নামে পারস্পরিক সুবিধা গ্রহণ। তৃতীয়ত, ওকহার্ট কোম্পানির কাছ থেকে ভাড়ার আয়ের ছলে সুবিধা গ্রহণ। চতুর্থত, ২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে আইসিআইসিআই ব্যাংকের ইএসওপি বিক্রি করে অন্যায্য লাভ। সর্বশেষ, এমএন্ডএম ও ব্ল্যাকস্টোন সংক্রান্ত বিষয়ে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ভান।

লোকপাল স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, এই অভিযোগগুলির কোনওটিই বিশ্বাসযোগ্য নয় এবং তা “তথ্যহীন, দুর্বল ও ইচ্ছাকৃতভাবে প্রচারমুখী” বলে মনে হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, “এই ধরনের ভিত্তিহীন ও মনগড়া অভিযোগ করে অভিযোগকারীরা শুধু বিষয়টিকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং লোকপালের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে তুচ্ছ করে তুলেছেন। এটি ২০১৩ সালের আইন অনুযায়ী বিভ্রান্তিকর ও শাস্তিযোগ্য। এর চেয়ে আর কিছু বলার নেই।”

লোকপাল আরও জানিয়েছে, অভিযোগকারীরা কোনও নির্ভরযোগ্য প্রমাণ জমা দেননি এবং একটি “অবাস্তব ও অযৌক্তিক তদন্ত” শুরু করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। এই রায়ের মাধ্যমে প্রাক্তন সেবি প্রধান মাধবী পুরি বুচের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ কার্যত খারিজ হয়ে গেল।