পালামু, ২৭ মে : ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী দমনে পরপর দ্বিতীয় দিনে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। রাজ্যের পালামু জেলার হুসেনাবাদ মহকুমায় এনকাউন্টারে নিহত হলেন শীর্ষ মাওবাদী নেতা তুলসী ভূইঁয়া। এই খবর সরকারি সূত্রে মঙ্গলবার নিশ্চিত করা হয়েছে।
সোমবার রাতে শুরু হওয়া এই গুলিযুদ্ধ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি এসএলআর রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানাচ্ছে, সংঘর্ষে আরও কয়েকজন মাওবাদী আহত বা নিহত হয়ে থাকতে পারে, যদিও তা এখনও নিশ্চিত নয়। ঘটনার পর গোটা এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন পালামুর পুলিশ সুপার ঋষমা রমেশান-সহ শীর্ষ সিআরপিএফ আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, মোহাম্মদগঞ্জ ও হায়দরনগর থানার সীমান্তবর্তী সিতাচুয়ান জঙ্গলে মাওবাদী কমান্ডার নীতেশ ও তার দলের অবস্থান সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান শুরু হয়। নীতেশের মাথার দাম ছিল ১৫ লক্ষ টাকা। তার সঙ্গেই ছিল সঞ্জয় গোধরাম, যার মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী এলাকা ঘিরে ফেলতেই মাওবাদীরা গুলি চালাতে শুরু করে, পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। এই গুলিযুদ্ধেই নিহত হয় তুলসী ভূইঁয়া।
এর আগের দিন লাতেহার জেলার নেতারহাট থানার অন্তর্গত এলাকায় মাওবাদী কমান্ডার মানীশ যাদব (যার মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা) নিহত হয় এক অভিযানে। একইসঙ্গে মাওবাদী কুন্দন খরওয়ারকে যার মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা, গ্রেফতার করে বাহিনী।
২৪ মে লাতেহারের ইচওয়ার জঙ্গলে সংঘটিত অপর একটি এনকাউন্টারে নিহত হয় মাওবাদী পাপ্পু লোহরা (তার মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা) ও প্রভাত লোহরা (তার মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা)। এক আহত মাওবাদীকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই বছরের ২১ এপ্রিল বোকারোর লালপানিয়ার লুগু পাহাড় অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি বড় অভিযানে মাওবাদী কমান্ডার প্রয়াগ মাঞ্জি-সহ মোট ৮ জন মাওবাদী যাদের মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা নিহত হয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, রাজ্য জুড়ে চলমান এই ধারাবাহিক অভিযানে মাওবাদী কার্যকলাপ চরমভাবে ব্যাহত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

