আগরতলা, ২৩ মে : পেনশন বিক্রয় বাবদ যে অর্থ পেনশনাররা পেয়ে থাকেন তা সমান মাসিক কিস্তিতে ১৫ বছরে অর্থাৎ ১৮০টি কিস্তিতে পুনরায় কেটে নেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে রাজ্যের পেনশন প্রাপকরা পেনশন বিক্রয় করার ১২৮ মাস পর পূর্ণ পেনশন প্রাপ্তির সুযোগ পান। কিন্তু ১৮০টি মাসিক কিস্তি কাটার পর পেনশনারদের পূর্ণ পেনশন দেওয়ার ফলে তারা প্রবল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। তাই এবিষয়ে চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহার হস্তক্ষেপের দাবি করেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ।
ওই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, সি.সি.এস. পেনশন রুলস্ ও ত্রিপুরা পেনশন রুলস্ ১৯৭২ অনুসারে পেনশন প্রাপকরা তাদের নিজ নিজ মূল পেনশনের ৪০ শতাংশ বিক্রয় করতে পারেন। এতে পেনশনাররা পেনশন বিক্রির মাধ্যমে এককালীন আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন। প্রচলিত নিয়ম অনুসারে পেনশন বিক্রয় বাবদ যে অর্থ পেনশনাররা পেয়ে থাকেন তা সমান মাসিক কিস্তিতে ১৫ বছরে অর্থাৎ ১৮০টি কিস্তিতে পুনরায় কেটে নেওয়া হয়। এই ক্ষেত্রে মাসিক কিস্তির সঙ্গে ১২ শতাংশ সুদ ধার্য করা হয়ে থাকে। বর্তমানে বিক্রয় করা পেনশনের উপর ৭ শতাংশ সুদ ধরা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের অবসর প্রাপ্ত সচিব মি. জিন্দাল হিসাব করে দেখেছেন পেনশন বিক্রয় বাবদ যে অর্থ পেনশনাররা পেয়ে থাকেন তা ১২৮ মাস পরেই পেনশনাররা পূর্ণ পেনশন পাবার অধিকারী হন। এই অবস্থায় ১৮০টি মাসিক কিস্তি কাটার পর পেনশনারদের পূর্ণ পেনশন দেওয়ার ফলে তারা প্রবল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন।
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন পেনশনার সংগঠন কেন্দ্রীয় সরকারের পেনশনারদের আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের নজরে নিলে আদালত সি.ডব্লিউ.পি নং ২৪৯০ এবং ৮২২২/২০২৪ আদেশে পেনশনারদের বিক্রয় করা পেনশন ১৮০টি মাসিক কিস্তির পরিবর্তে ১২৮টি মাসিক কিস্তিতে কাটার নির্দেশ দেয়। যাদের ১২৮ মাস বা তার বেশি সময় ধরে বিক্রি করা পেনশন কেটে নেওয়া হচ্ছে তা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্ট এও জানায় যে এই আদেশ রাজ্য সরকারের পেনশনারদের ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য হবে। তাই রাজ্যের ৫০ হাজার সরকারি পেনশনারদের স্বার্থে এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

