মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের গুরুত্বপূর্ণ রায় : ‘শুধু শ্লীলতাহানিকে যৌন নিপীড়ন ধরা যাবে না’, অভিযুক্তের সাজা ২০ বছর থেকে কমিয়ে ৫ বছর

জবলপুর(মধ্যপ্রদেশ), ১৭ মে : মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট এক গুরুত্বপূর্ণ রায়ে জানিয়েছে, শুধুমাত্র শ্লীলতাহানির ঘটনাকে যৌন নিপীড়নের সমান হিসেবে গণ্য করা যায় না। এই যুক্তির ভিত্তিতে হাইকোর্ট পকসো আইনে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির ২০ বছরের কারাদণ্ড কমিয়ে ৫ বছর করেছে। বিচারপতি বিবেক অগ্রবাল এবং বিচারপতি দেবনারায়ণ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।

ঘটনাটি অনূপপুর জেলার, যেখানে অভিযুক্ত হরিকীর্তন শাহের বিরুদ্ধে পকসো আইনসহ বিভিন্ন ধারায় ২০ বছরের সাজা ঘোষণা করেছিল ট্রায়াল কোর্ট। তবে উচ্চ আদালতে পুনর্বিবেচনার আবেদন করে অভিযুক্ত জানান, তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হতে পারে। তার দাবি, ঘটনার আগেই তিনি থানায় একটি অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন যে, তাকে এসসি-এসটি অ্যাক্টের আওতায় মিথ্যে ফাঁসানো হতে পারে।

সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত জানায়, ভুক্তভোগী নিজেও আদালতে স্বীকার করেছেন, তার সঙ্গে শুধু শ্লীলতাহানি হয়েছিল, যৌন শোষণ হয়নি। এমনকি মেডিকেল রিপোর্টেও যৌন নিপীড়নের কোনও প্রমাণ মেলেনি, শরীরে কোনও অভ্যন্তরীণ আঘাতের চিহ্নও ছিল না।

এই সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে হাইকোর্ট মন্তব্য করেছে, শুধুমাত্র শ্লীলতাহানির অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনের কঠোরতম ধারা প্রয়োগ করা অনুচিত। ট্রায়াল কোর্টের রেকর্ড খতিয়ে দেখে আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ অভিযুক্তের সাজা ২০ বছর থেকে কমিয়ে ৫ বছরে নামিয়ে এনেছে।

আদালত আরও স্পষ্ট করে জানিয়েছে, পকসো আইনের আওতায় ‘যৌন নিপীড়ন’ বলতে যা বোঝায়, তার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না থাকলে শুধুমাত্র শ্লীলতাহানির ঘটনায় কঠোর সাজা দেওয়া ন্যায্য নয়। এই রায় ভবিষ্যতের মামলাগুলিতে পকসো আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলেই মনে হচ্ছে।