সীমান্ত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে অমিত শাহ, ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের তৎপরতা

নয়াদিল্লি, ৭ মে : জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে নির্মম জঙ্গি হামলার ১৫ দিনের মাথায় ভারত ‘অপারেশন সিঁদুরে’ চালিয়ে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে লক্ষ্যভিত্তিক আঘাত হানে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বুধবার দুপুরে জরুরি বৈঠক ডাকলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সূত্রের খবর, এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং মুখ্যসচিবরা। রাজ্যগুলি হল — পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড এবং লাদাখ।
বৈঠকে মূলত সীমান্ত এলাকার বর্তমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সম্ভাব্য জঙ্গি অনুপ্রবেশের আশঙ্কা এবং প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই পাল্টা প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছে, তাই সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে জঙ্গি হামলায় নিহত হন ২৬ জন নিরীহ পর্যটক। ঘটনায় দেশজুড়ে তৈরি হয় চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ। জবাবে মঙ্গলবার রাতে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুরে’ চালায়, যেখানে পাকিস্তান ও PoK-তে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবা, ও হিজবুল মুজাহিদিন-এর ঘাঁটিগুলি। হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে বাহাওয়ালপুরের ‘মারকাজ সুবহান আল্লাহ’, মুরিদকির ‘মারকাজ তাইবা’, সিয়ালকোটের ‘মেহমুনা জোয়া’, এবং মুজাফ্ফরাবাদের ‘সৈয়দনা বিলাল ক্যাম্প’ সহ আরও একাধিক ক্যাম্প।
সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, হামলা অত্যন্ত নির্ভুলভাবে চালানো হয়েছে যাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত না হয়। সামরিক ঘাঁটি নয়, কেবলমাত্র সন্ত্রাসবাদী শিবিরগুলিই লক্ষ্য করা হয়েছে।