পরিবর্তিত ত্রিপুরা: স্বর্ণযুগের সূচনা—প্রথম পর্বে গন্ডাছড়ার ধনুরাম পাড়ার রূপান্তরের কাহিনি

নিজস্ব প্রতিনিধি:
২০১৫ সাল থেকে জনসম্পর্কের দায়িত্ব এবং পরবর্তীতে প্রদেশ বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রান্তিক ত্রিপুরার নানা প্রান্তে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তৎকালীন নেতৃত্ব। সেই সময় চোখে পড়ে বামফ্রন্ট সরকারের দীর্ঘ শাসনকালেও উন্নয়নের বাস্তব চিত্র। প্রত্যন্ত জনপদগুলিতে গিয়ে দেখা যায়, সাধারণ মানুষ এক প্রকার সরকারি সহায়তা ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, অনাহারে-অর্ধাহারে দিনযাপন করছে। অথচ জনতার সামনে তুলে ধরা হতো এক কাল্পনিক স্বর্ণযুগের গল্প।

ক্ষমতার কেন্দ্রীভূত আস্ফালনে পদদলিত হয়েছে বহু নিরীহ মানুষের ভবিষ্যৎ। সন্ত্রাসের ছায়ায় মুখে কুলুপ আঁটা মানুষগুলোর চোখেমুখে ফুটে উঠেছিল এক নির্বাক প্রতিবাদ এবং আশার অপেক্ষা।

২০১৮ সালে দেশের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিকাশমুখী ভাবনার ছায়ায় ত্রিপুরায় ক্ষমতার পালাবদল ঘটে। বহু প্রতীক্ষিত মুক্তির সূর্য উদিত হয়—গঠিত হয় ত্রিপুরাবাসীর সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণের পর তাঁর প্রথম সফর ছিল উত্তর জেলার গন্ডাছড়ার ধনুরাম পাড়ায়। সেখানে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে জীবনযাপন করা মানুষদের অবস্থা দেখে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।

সেই সময় দেখা যায়, খাদ্যের অভাবে মানুষ কাঁঠালের বিচি খেয়ে দিন কাটাতো, জঙ্গলে ঘুরে খুঁজে আনতো খাওয়ার জোগান। সরকারি সুবিধা ছিল নামমাত্র।

সেই অবস্থার আমূল পরিবর্তন এসেছে গত কয়েক বছরে। প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনায় ঘর, বিদ্যুৎ সংযোগ, পানীয় জল, রাস্তা নির্মাণ, জমির পাট্টা, রাবার বাগান, কিষান সম্মান নিধীর মাধ্যমে বছরে ৬ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা, বিনামূল্যে রেশন, সামাজিক সুরক্ষা ভাতা—সমস্ত কিছুই আজ পৌঁছে গেছে সেসব জনপদে।

এই রূপান্তরই আজকের পরিবর্তিত ত্রিপুরার চিত্র। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “মোদীজির আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং নীতি প্রয়োগের ফলে আজ ত্রিপুরার প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতেও বিকাশ পৌঁছেছে। এই হাসিমুখগুলোই আমাদের কাজের প্রেরণা।”

ত্রিপুরা এখন সন্ত্রাস নয়, উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে—এটাই যেন পরিবর্তনের আসল বার্তা।