বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য
কুমারঘাট, ১৭ এপ্রিল : বিদ্যুৎ দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করল কুমারঘাট ব্লক যুব কংগ্রেস। সোমবার কুমারঘাট বিদ্যুৎ দপ্তরে ডেপুটেশন পেশ করে তারা। ব্লক যুব কংগ্রেস সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পেশ করা ওই ডেপুটেশনে অভিযোগ করা হয়েছে, বিদ্যুৎ পরিষেবার বেহাল অবস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় ভূতুড়ে বিলের জেরে ভোক্তারা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।
যুব কংগ্রেসের অভিযোগ, সম্প্রতি বিদ্যুৎ নিগম কুমারঘাট শাখা থেকে ফটিকরায় সহ আশপাশের এলাকায় বেশ কিছু মিটার পরিবর্তন করা হয়েছে। এই নতুন মিটার লাগানোর পর থেকেই ভোক্তাদের বিদ্যুৎ বিলের অঙ্ক বেড়ে দাঁড়াচ্ছে এক মাসে ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকায়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, আগে যাঁরা মাসে ৫০০-৭০০ টাকায় রিচার্জ করতেন, তাঁদের এখন বিল আসছে ২০ হাজার টাকারও বেশি।
রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা অশ্বিনী দাস জানান, আগে মাসে ৩০০ টাকা রিচার্জেই বিদ্যুৎ চলত, কিন্তু নতুন পোস্ট পেইড মিটার লাগানোর পর গত মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৮৪ হাজার টাকার বিল। একইভাবে, এই গ্রামের পঞ্চায়েতের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিলব দাসের ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন মিটার বসানোর পর বিল এসেছে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। পঞ্চায়েত সদস্য বেনুভূষণ দাসের বিল এসেছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা।
জানা গেছে, রাধানগর গ্রামে দেড় বছর আগে প্রিপেইড মিটার বসানো হলেও এখন আবার তা পরিবর্তন করে নতুন পোস্ট পেইড মিটার লাগানো হচ্ছে। এই কাজের দায়িত্বে রয়েছে বেসরকারি সংস্থা ‘টেকনো ইলেকট্রিক’।
যদিও বিদ্যুৎ দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভূতুড়ে বিল সংক্রান্ত সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে তা ঠিক করার কাজ শুরু হয়েছে। তবে ভোক্তাদের ক্ষোভ এখনও প্রশমিত হয়নি। যুব কংগ্রেসের দাবি, অবিলম্বে সমস্যার সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবে তারা।

