নয়াদিল্লি, ১৪ এপ্রিল (হি.স.): কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ভারতকে নকশালমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ছত্তিশগড়ে নকশালদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি রাজ্য পুলিশও এই অভিযানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। ছত্তিশগড়ের আদিবাসী উন্নয়ন ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রামবিচার নেতাম বিশ্বাস করেন যে গণতন্ত্রে সংবিধানই প্রতিটি সমস্যার সমাধান, বন্দুক নয়।
রায়পুরে হিন্দুস্থান সমাচারের সঙ্গে আলাপচারিতায় রামবিচার নেতাম নকশালবাদের বিরুদ্ধে অভিযান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, নকশাল নেতৃত্বকে মোকাবিলা করার জন্য কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যারা সাধারণ আদিবাসীদের বিভ্রান্ত করেছে তাদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করা উচিত। যারা মুখের ভাষায় বোঝে তাদের সাথে কথা বলা যায়, কিন্তু যারা বন্দুকের মাধ্যমে বোঝে তাদের সেই ভাষাতেই বোঝানো হবে। সরকার কাউকে মারতে চায় না, কিন্তু যারা অন্যকে হত্যা করতে চায়, তাদের মোকাবিলা কীভাবে করা হবে? নকশালদের দাবি নিয়ে রামবিচার নেতাম বলেন, কীসের লড়াই? উন্নয়ন- স্কুল, হাসপাতাল, রাস্তাঘাট, সেতু ও নিরাপত্তা সব নিশ্চিত করা হয়েছে। তাহলে রেড করিডোরে এসব নির্মাণ বন্ধ কেন? সরকার কোনওভাবে এটি নির্মাণ করলেই বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হয়। কেন? কারণ তারা নিরীহ আদিবাসীদের বোকা বানিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করছে। সরকারের বিরুদ্ধে আদিবাসীদের উস্কানি দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বস্তার, বিজাপুর, নারায়ণপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের আদিবাসীদের বলা হয় যে সরকার তাদের প্রতি কোনও খেয়াল রাখছে না। যখন সেখানে সরকারি কাজ করা হয়, নকশালদের থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলি তাদের বলে যে আপনার জল, জঙ্গল এবং জমিতে সরকারের নজর রয়েছে। সরকারের কী করা উচিত বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
নকশালদের মূল স্রোতের ফেরানোর পরিকল্পনা সম্পর্কে মন্ত্রী রামবিচার নেতাম বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশনায় এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে, ছত্তিশগড় সরকার এই সমস্যাটিকে শিকড় থেকে নির্মূল করার কাজ করছে। তারাও মানুষ, তাই তাদের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খোলা রাখা হয়েছে। কোনও ব্যক্তি বা সরকারের কাছে নয়, সংবিধানের প্রতি আত্মসমর্পণ করা দরকার। তিনি আরও বলেন, জল, জঙ্গল ও জমি নিরাপদ থাকবে। জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও সরকারের দায়িত্ব, নকশালদের নয়। জনগণকে রক্ষা করার দায়িত্ব সংবিধানের ওপর বর্তায়, কোনও চরমপন্থী সংগঠনের ওপর নয়।

