শ্রীভূমি (অসম), ১০ এপ্রিল (হি.স.) : অসমে আসন্ন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে টাকার বিনিময়ে টিকিট প্রদানের অভিযোগে জেলায় জেলায় কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা ও কর্মীদের মধ্যে তীব্র বিদ্রোহ আছড়ে পড়ছে।
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পঞ্চায়েত এবং গ্রাম পঞ্চায়েত সভাপতি পদের টিকিট বিক্রির গুরুতর অভিযোগের মুখে পড়েছে কংগ্রেস দল।
বুধবার রাতে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রীভূমি জেলার অন্তর্গত লক্ষ্মীবাজার জেলা পরিষদ আসনের প্রতিনিধি এবং টিকিট-প্রত্যাশী আসান চৌধুরী সিনিয়র কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন। আসান চৌধুরীর অভিযোগ, ‘জেলা পরিষদ পদের টিকিট ১০ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আঞ্চলিক পঞ্চায়েত আসনের টিকিটের দাম ৮ লক্ষ টাকা।’
অভিযোগকারী চৌধুরীর দাবি, ‘দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন কমিটিতে ১১টি ভোট পাওয়ার পর তিনি দলীয় টিকিট পাওয়ার প্রত্যাশায় প্রদেশ কংগ্রেস সম্পাদক আমিনুর রশিদকে ৪ লক্ষ টাকা এবং জেলা কংগ্রেস সভাপতি রজত চক্রবর্তীকে ৫ লক্ষ টাকা হস্তান্তর করেছেন। তবে, রজত চক্রবর্তী পরে টাকা ফেরত দিয়ে বলেন, তিনি টিকিট দিতে পারবেন না। অথচ আমিনুর রশিদ ৪ লক্ষ টাকা নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন।’
অসন্তুষ্ট প্রার্থী আসান চৌধুরী হুমকি দিয়ে বলেছেন, তাঁর টাকা যদি একদিনের মধ্যে ফেরত দেওয়া না হয়, তা-হলে তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
তাঁর আরও অভিযোগ, ‘আমিনুর রশিদ এপিসিসি সভাপতি ভুপেন বরার হয়ে বরাক উপত্যকা থেকে তহবিল সংগ্রহ করছেন। এতে স্পষ্ট ইঙ্গিত, অভ্যন্তরীণ এই অসদাচরণ আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেসের পারফরম্যান্সকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।’
এদিকে আসান চৌধুরীর সমর্থকরা রাস্তায় নেমে জাতীয় কংগ্রেস নেতাদের সমর্থনে ‘লং লিভ কংগ্রেস’, ‘লং লিভ রাহুল গান্ধী’, ‘লং লিভ গৌরব গগৈ’ প্ৰভৃতি স্লোগান দিলেও ‘ভুপেন বরা নিপাত যাক’, ‘দালাল আমিনুর রশিদ চৌধুরী নিপাত যাক’ এবং ‘রজত চক্রবর্তী নিপাত যাক’ স্লোগান দিয়ে প্রদেশ নেতাদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দেন।

