বয়সবিধি ! সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরো থেকে সরলেন মানিক সরকার, নতুন সদস্য হলেন জিতেন্দ্র চৌধুরী, এম. এ. বেবি দলের নতুন সাধারণ সম্পাদক

মাদুরাই, ৬ এপ্রিল : সীতারাম ইয়েচুরির শূন্য করে যাওয়া পদে আসীন হলেন এম. এ. বেবি। সিপিএমের মাদুরাই পার্টি কংগ্রেসে কেরলের ওই নেতাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। দলের শীর্ষ পদে তাঁকে বেছে নেওয়াতে সিপিএমে দক্ষিণের পাল্লা অনেকটাই ভারি হয়ে গেছে। এদিকে, বয়সবিধির কারণে সিপিএমের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি পলিটব্যুরো এবং কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়লেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। সেখানে, ত্রিপুরা থেকে পলিটব্যুরোর নতুন সদস্য হয়েছেন দলের রাজ্য সম্পাদক তথা বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। অন্যদিকে, ত্রিপুরা থেকে নতুন চারজন সদস্য মানিক দে, রতন ভৌমিক, নরেশ জমাতিয়া এবং কৃষ্ণা রক্ষিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।

দক্ষিণ ভারতের পি সুন্দরাইয়া (অন্ধ্রপ্রদেশ) (কেরল) ইএমএস নাম্বুদিরিপাদ এবং সিপিএমের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন। তাঁদের পর একটা দীর্ঘ সময় দলের শীর্ষপদে ছিলেন পঞ্জাবের হরকিষেণ সিংহ সুরজিৎ। তাঁর নেতৃত্বে সিপিএমের দারুন উত্থান হয়েছিল। কিন্তু ২০০৫ সালে তাঁর মৃত্যুর পর সিপিএমের ব্যাটন তুলে দেওয়া হয় প্রকাশ কারাটের হাতে। কারাটের সময়েই পরমাণু চুক্তি ইস্যুতে ইউপিএ-র সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল সিপিএম। কারাট জমানা শেষ হওয়ার পর দায়িত্ব পান সীতারাম ইয়েচুরি। ওই দুই দক্ষিণী নেতার পর মনে করা হচ্ছিল এবার সিপিএম হয়তো দাক্ষিনাত্যের বাইরে শীর্ষ পদের নেতা বেছে নেবে। কিন্তু, মাদুরাই পার্টি কংগ্রেস সিপিএমের ছবি বদলের দায়িত্ব দিল ১২ বছর ধরে কেরল থেকে রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী কোল্লামের ভূমিপুত্র মারিয়াম আলেকজান্ডার বেবিকে।

বয়সের কারণে বিদায়ী পলিটব্যুরোর সদস্যদের মধ্যে সাত জনের বাদ পড়ার সম্ভাবনা ছিল। সেই তালিকায় ছিলেন প্রকাশ কারাট, বৃন্দা কারাট, সুহাষিনী আলি, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, বাংলার সূর্যকান্ত মিশ্র এবং তামিলনাড়ুর জি রামকৃষ্ণন। তবে ব্যতিক্রম হিসাবে বিজয়নকে কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরোয় রেখে দেওয়া হয়েছে। বাকি ছ’জন সরে গেলেন।

এদিকে, একটা দীর্ঘ সময় ধরে সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য ছিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। বয়সবিধির কারণে তিনি পলিটব্যুরো এবং কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ১৯৯৮ সালে ৪৯ বছর বয়সে মানিক সরকার সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য হয়েছিলেন। একটানা ২৭ বছর তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটির সদস্য ছিলেন। নতুন সদস্য হিসেবে ত্রিপুরা পলিটব্যুরোতে স্থান পেয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তথা বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। এছাড়া, মানিক দে, রতন ভৌমিক, নরেশ জমাতিয়া এবং কৃষ্ণা রক্ষিত সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নতুন সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন।


Thanks & Regards
Sandeep Biswas

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *