রাজ্যে অনুপ্রবেশ রুখতে পুলিশ, বিএসএফ যৌথভাবে কাজ করছে: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ১ এপ্রিল: রাজ্যে অনুপ্রবেশ রুখতে পুলিশ, বিএসএফ ও অন্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলি যৌথভাবে কাজ করছে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন অরক্ষিত এলাকাগুলিতে নিয়মিতভাবে জয়েন্ট. মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভা অধিবেশনের শেষদিনে অনুপ্রবেশ রুখতে মোদী সরকারের কড়া অভিবাসন আইন – এই সম্পর্কিত বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মার উত্থাপিত রেফারেন্স পিরিয়ডের বিষয় নিয়ে আলোচনায় এই তথ্য জানান মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

সভায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, এই বিষয়টি মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত বিল প্রসঙ্গে এবং এটা সংসদ- এর আওতাধীন। যা এখনো আইন বা অ্যাক্ট রূপে পাস হয়নি। তবে এই প্রসঙ্গে বলা যায়, এই বিলটি অ্যাক্ট বা আইন রূপে বলবৎ হলে ঐ আইন আনুযায়ী রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে, ইন্ডিয়ান পাসপোর্টস অ্যাক্ট এবং দি ফরেনার্স অ্যাক্ট- এই দুটি আইনের মাধ্যমে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এবং সীমান্ত দালালদের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, সংশ্লিষ্ট এই দুটি আইন মোতাবেক, বিগত ২০২২ সালে মোট ১১২টি মামলা, ২০২৩ সালে ৩০৩টি মামলা এবং ২০২৪ সালে ৩২৭টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছিল। ২০২৪ সালে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এবং সীমান্ত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের ৩৭০নং ধারা এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩ আইনের ১৪৩(২) নং ধারা প্রয়োগ করে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানান, মানব পাচার দমনে পুলিশ প্রশাসন নিয়মিতরূপে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে কাজ করছে। এরমধ্যে রয়েছে – বিএসএফ-এর সঙ্গে মিলিতভাবে রাজ্যের আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন অরক্ষিত এলাকাগুলিতে (আনফেন্সড এরিয়াস) নিয়মিতভাবে জয়েন্ট পেট্রোলিং করা হয়। গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে মানব পাচারের সঙ্গে যুক্ত দালালদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়ে থাকে এবং এরপরে আইনের সুনির্দিষ্ট ধারায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, মানব পাচার রোধের উদ্দেশ্যে অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতায় জেলাভিত্তিক এন্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিটগুলি সক্রিয়ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারী রেলওয়ে পুলিশ থানাগুলি রেল স্টেশনগুলিতে এবং প্ল্যাটফর্মগুলিতে নিয়মিতভাবে নজর রাখে। তাছাড়া, সংশ্লিষ্ট রেলস্টেশন সংলগ্ন যানবাহনগুলিতে নিয়মিতভাবে চেকিং, রেলট্র্যাক সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী জনবসতিতে চেকিং চালানো হয়। এর পাশাপাশি অন্তর্বর্তী এলাকাগুলিতে মানব পাচারের বিরুদ্ধে জনজাগরণের উদ্দেশ্যে রাজ্য পুলিশ ‘প্রয়াস’ মিটিং নিয়মিতভাবে সংগঠিত করে থাকে।

————

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *