নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ মার্চ:
রাজ্য সরকার রাজ্যে বিভিন্ন কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডিলারদের দ্বারা পরিচালিত ৬০০টি রেশনশপকে মডেল রেশনশপ হিসেবে পরিগণিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ রাজ্য বিধানসভায় বিধায়ক নয়ন সরকার এবং বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণের দুটি পৃথক প্রশ্নের উত্তরে খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, রাজ্য সরকার গণবণ্টন ব্যবস্থার অধীনে গ্রাহকদের পুরোনো কাগজের রেশন কার্ডের বদলে নতুন পিভিসি রেশন কার্ড প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গণবণ্টন ব্যবস্থার অধীনে নতুন পিভিসি রেশন কার্ড প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে পরিবারের সকল সদস্যদের প্রয়োজনীয় তথ্যাদি তথা নাম, বয়স, লিঙ্গ ও ঠিকানা সঠিক থাকা জরুরি, যা একমাত্র ই-কে.ওয়াই.সি. ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা সম্ভব। রাজ্যের সকল রেশনকার্ডধারী উপভোক্তাদের রেশন দোকানে গিয়ে ই-পস মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ স্ক্যান করে আধার ই-কে.ওয়াই.সি. করার জন্য দপ্তরের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় যা এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ পর্যন্ত রাজ্যে ২৬ লক্ষ ৮৯ হাজার রেশন ভোক্তার ই-কে.ওয়াই.সি.-র কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। শতাংশের হিসেবে ধরলে ৭২.৭ শতাংশ ভোক্তার ই-কে.ওয়াই.সি.-র কাজ এখন পর্যন্ত শেষ হয়েছে। তিনি জানান, রাজ্যে গণবণ্টন ব্যবস্থার আওতায় আছেন এমন ভোক্তার সংখ্যা ৩৭ লক্ষ ৩৩ হাজার। তিনি জানান, ভারত সরকার সমস্ত রাজ্য সরকারগুলিকে চলতি বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে গণবন্টনের অধীন সমস্ত গ্রাহকদের আধার ই-কে.ওয়াই.সি. সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যে খুব শীঘ্রই সকল পরিবারকে নতুন পিভিসি রেশন কার্ড প্রদান করা সম্ভব হবে বলে খাদ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন।