উদয়পুর, ১৯ মার্চ: নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ করার অপরাধে উদয়পুরের অভিযুক্ত রাহুল দাসকে ২০ বছরের সাজা ঘোষণা করলো বিচারক।
গত ২১/৯/২০২২ ইং উদয়পুর চন্দ্রপুর এলাকার এক নাবালিকা স্কুল ছাত্রী উদয়পুর ইংলিশ মিডিয়াম বিদ্যালয় আসার সময় উদয়পুরের মুড়াপাড়ার মৃত অবনী দাসের ছেলে রাহুল দাস জোরপূর্বক মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে মেয়েটির বাবা এবং পরিবারের লোকজন মেয়েটির বাড়িতে না যাওয়া উদয়পুর মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যার নম্বর ৪৪/ ২২। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩/ ৩৭৬ (২)/ ০৬ পকসো আইনে মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু হয় উদয়পুর মহিলা থানার পুলিশ।
পরবর্তী সময়ে মহিলা থানার পুলিশ অভিযুক্ত রাহুল দাসকে ধর্মনগরে এক ভাড়া বাড়ি থেকে নাবালিকা স্কুলছাত্রী সহ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে উদয়পুরে। দীর্ঘদিন শুনানির পর আদালতে এ মামলার ঘোষণা করা হয় বুধবার। সরকারি পক্ষের আইনজীবী পল্টু দাস সাংবাদিকদের সামনে বলেন দীর্ঘদিন শোনানির পর আদালত ১৬ জন সাক্ষ্য বাক্য গ্রহণ করার পর আদালতের স্পেশাল জাজ শংকর লাল দত্ত বুধবার এই রায়ের ঘোষণা করে বলেন ৩৬৩ এবং ৩৭৬ ধারা অনুযায়ী আসামি রাহুল দাসকে তিন বছরের জেল ও জরিমানা করা হয়। তৎসঙ্গে ১০০০ টাকা অর্থদণ্ড এবং পকসো আইনে কুড়ি বছরের সাজা ঘোষণা করেন, তৎসঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের জেল ঘোষণা করেন বলে জানান সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত পি পি পল্টু দাস।
তিনি আরো বলেন যেদিন এই নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করা হয় সেই দিন রাহুল দাসের সঙ্গে তার এক বোন, মামা এবং এক বন্ধু জড়িত ছিল। কিন্তু প্রমাণের অভাবে তাদেরকে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে জানান। মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন মহিলা থানার সাব ইন্সপেক্টর লিপিকা ভট্টাচার্য।