নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ মার্চ:
চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করতে গিয়ে আটক
দুই প্রতারক। তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। এক যুবকের বাড়িতে চাকরির অফার দিতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয় ওই প্রতারক চক্র। এয়ারপোর্ট থানার পুলিশের হাতে তাদের তুলে দেন জনতা। আজও রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বক্রিয় রয়েছে বিভিন্ন প্রতারক চক্র। যাদের টার্গেট মূলত রাজ্যের সরল সোজা মানুষকে চাকরি, মাইক্রো ফাইন্যান্সের নাম করে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া। এমনই এক ঘটনা সামনে এলো মঙ্গলবার এয়ারপোর্ট থানাধীন গান্ধীগ্রাম মধ্য পাড়া এলাকা থেকে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় ‘স্মার্ট ভ্যালু লিমিটেড’ নাম দিয়ে একটি প্রতারক চক্র এক যুবকের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তার বাড়িতে পৌঁছে যায় এবং বিভিন্নভাবে তাকে মানানোর চেষ্টা করে। তাকে বলেন, ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরির মতো চাকরি দেবে, যার বেতন হবে শুরুতেই ১৫ হাজার এবং বাড়িতে বসেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনলাইনে কাজ করতে পারবেন ওই যুবক।
যুবকটির পিতা তাদের চক্রে না পড়লে যুবকের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেওয়ার হুমকি দিতে শুরু করে ওই প্রতারক চক্র, এমনই অভিযোগ। পরে যুবকের পিতা স্থানীয় জনগনকে বিষয়টি জানান এবং স্থানীয়রা তাদের আটক করে তুলে দেন পুলিশের হাতে। দুই প্রতারক হলো সিপাহীজলা জেলার বিশালগড় ধ্বজনগর এলাকার বাসিন্দা মলয় দেবের ২০ বছরের কলেজ পড়ুয়া ছেলে সুপ্রতিম দেব, এবং পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের পঙ্কজ মণ্ডলের ২৮ বছরের ছেলে মঙ্গল মণ্ডল। প্রতারক চক্রটি দাবি করে তারা ফোন নম্বর টিপিএসসি থেকে সংগ্রহ করেছেন।
জানা যায় এই চক্রে যুক্ত রয়েছে ফটিকরায় বিধানসভার কাঞ্চনবাড়ি এলাকার এক যুবতীও। গোটা ঘটনাটি এয়ারপোর্ট থানায় সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান এই প্রতারক চক্র থেকে অল্পতে রক্ষা পাওয়া যুবকের পিতা। বলা বাহুল্য যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার জনস্বার্থে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছেন এই সকল প্রতারক চক্রের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করতে তথাপি ‘স্মার্ট ভ্যালু লিমিটেডের’ মতো প্রতারক চক্র বিশেষ করে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের ছেলে মেয়েদের টার্গেট করে হাতিয়ে নিচ্ছে সর্বস্ব।
সচেতন মহলের দাবি, এই সকল চক্রকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচারের ব্যবস্থা করা দরকার এদের বিরদ্ধে ।