সোনামুড়ায় শ্বশুরবাড়িতে মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত বাবা

সোনামুড়া, ১৬ মার্চ : সোনামুড়া থানা এলাকার রাঙ্গামাটিয়া ভোলামোড়ায় এক ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। শ্বশুরবাড়িতে মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে শ্বশুর, স্বামী ও শাশুড়ির হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে আব্দুল হামিদ নামের এক ব্যক্তির সাথে।

পাঁচ বছর আগে আব্দুল হামিদের মেয়ে ফারজানা আক্তারের সঙ্গে রাঙ্গামাটিয়া ভোলামোড়ার সাইফুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর প্রথম তিন বছর তাদের সংসার সুখেই কাটছিল। তবে, গত দুই বছর ধরে সাইফুল অন্য মহিলাদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।

সম্প্রতি, একটি গ্লাস নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। অভিযোগ, সাইফুল তার স্ত্রীকে মারধর করে। এরপর, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে একটি সালিশি সভা বসে। সভায় আব্দুল হামিদও উপস্থিত ছিলেন। সালিশি সভায় সাইফুলকে অন্য মহিলাদের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।

সালিশি সভা শেষ হওয়ার পর, সাইফুল তার স্ত্রীকে জানায় যে, সে অন্য মহিলাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে। এ কথা শুনে ফারজানা তার শ্বশুর লক হাবিল মিয়াকে বিষয়টি জানায়। তখন লক হাবিল মিয়া পুত্রবধূর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
এরপর, ফারজানা তার বাবা আব্দুল হামিদকে খবর দেন। আব্দুল হামিদ মেয়েকে বাঁচাতে গেলে, শ্বশুর, স্বামী, দেবর ও শাশুড়ি মিলে তাকে মারধর করে। এমনকি, তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধেও মারধর করা হয়।

শেষ পর্যন্ত স্থানীয়দের সহায়তায় ফারজানা ও তার বাবা থানায় গিয়ে শ্বশুর, স্বামী, দেবর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলেও, তারা পালিয়ে যায়।

ফারজানা ন্যায়বিচার ও অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *