আগরতলা, ১৩ মার্চ : রাজ্যে জীবিকা এবং পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাষাবাদ ও শস্যের উন্নতি – বিষয়ে আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে তিন দিনের কর্মশালা শুরু হয়েছে। ভারতীয় কৃষি গবেষনা পর্ষদ (আইসিএআর) আয়োজিত এই কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নাল্লুর শুভেচ্ছা বার্তা পড়ে শোনানো হয়। রাজ্যপাল এই কর্মশালার সাফল্য কামনা করে বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ত্রিপুরায় বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদনের উপযোগী বৈচিত্র্যময় কৃষি-জলবায়ু পরিবেশ রয়েছে, যা অত্যন্ত গর্ব করার মতো। রাজ্যপাল আরও বলেন, ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য শস্যের বৈচিত্রকরন, এবং বিবিধ কৃষি কৌশলের প্রবর্তন ও উন্নতিসাধন করা অপরিহার্য।
রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রকৃতির জমিতে উপযুক্ত ফসলের চাষাবাদ ও প্রসারের জন্য কেন্দ্রীয় কৃষি সংস্থা আইসিএআর নিরলস কাজ করে চলেছে। ফসলের উন্নতির জন্য কৌশলগত পদ্ধতি তৈরি করাও এসআর আই পদ্ধতিতে ধানের উৎপাদন বাড়ানোর ওপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। এস আর আই পদ্ধতি গ্রহণ করলে জমিতে জলের ব্যবহার ৫০ শতাংশ হ্রাস পায়। রাজ্যেপাল জৈব চাষের প্রসার ঘটাতেও আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে আইসিএআর ত্রিপুরা শাখার প্রধান বি ইউ চৌধুরী জানান, রাজ্যের কৃষির উন্নতির জন্য গোমতী, চিকেন ধানের মতো ২২ থেকে ২৩ ধরনের ধান আইসিএআর থেকে উদ্ভাবন করা হয়েছে। কৃষকরা এই সব প্রজাতির বীজ ব্যবহার করায় রাজ্যে ধানের উৎপাদন দুই থেকে তিন গুন বেড়েছে। চাষিদের এইসব ধানের চাষ নিয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান । তিনি জানান, কৃষি, উদ্যান ফসল, মৎস্য ও প্রাণিপালন সহ সকল সহযোগী ক্ষেত্র নিয়ে কৃষি উৎপাদন, কৃষক কল্যাণ ও কৃষকদের উপার্জন বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে আইসিএআর।
তিনি আরও জানান, আজ থেকে শুরু হওয়া তিনদিনের কর্মশালায় ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি রোজগার বাড়ানোর জন্য চাষাবাদের নানান পরিকল্পনা ও উপায় নিয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষকরা এই তিনদিনে আইসিএআর এর বিজ্ঞানীদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করবেন। এদিন কর্মশালায় আলোচনা করেন রাজ্য প্রানী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের সচিব দীপা ডি নায়ার, আইসিএআরের কৃষি বিজ্ঞানী ডঃ বিনয় সিং প্রমুখ। কর্মশালায় ২০০-র অধিক কৃষক অংশগ্রহণ করেছেন।