আগরতলা, ২৮ জানুয়ারি: মিষ্টি দোকানের কারখানায় ২০ বছরের পুরনো কর্মচারীর মাথায় আঘাত লেগে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে। মৃতের ছেলের অভিযোগ, তাঁর বাবাকে খুন করা হয়েছে। কারণ, কিছুদিন পূর্বে ওই কারখানায় কর্মরত এক ব্যক্তির সাথে তাঁর বাবার ঝগড়া হয়েছিল। তারপরই তাঁর বাবার মাথায় আঘাত লেগে মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, বাধারঘাটস্থিত মিষ্টি কারখানায় দীর্ঘদিন ২০ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন জীবন ঘোষ। তাঁর বাড়ি বিশালগড়ে। কিন্তু জয়নগরের সেই মিষ্টি দোকানের মালিকের কারখানা আছে বাধারঘাটে। ওই কারখানায় কাজ করতেন জীবন। কিন্তু ১৫ জানুয়ারি পরিবারের সদস্যদের কাছে খবর আসে জীবন ঘোষের মাথায় আঘাত লেগেছে। তাঁকে জিবি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মৃতের ছেলের দাবি তাঁকে খুন করা হয়েছে।
এবিষয়ে মৃতের ছেলে জানিয়েছেন, তাঁর বাবাকে খুন করা হয়েছে। কারণ, গত কিছু আগে মালিকের স্ত্রী ফোন করে জানিয়েছিলেন তাঁর বাবার সাথে ওই কারখানায় কর্মরত এক বহিঃরাজ্যের কর্মীর সাথে বিবাদ হয়েছিল। তার কিছুদিন পরই গত ১৫ জানুয়ারী জীবনের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। তার থেকে সবচেয়ে অবাক করার বিষয় ২০ বছরের পুরনো কর্মচারীকে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে মঙ্গলবার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একবার জিবি হাসপাতালে দেখতে যাননি দোকান মালিক। এক টাকা পর্যন্ত দেননি। অথচ তার কারখানা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় জীবন ঘোষকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনায় মৃতের পরিবারের সদস্যরা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তাই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাইছেন জীবন ঘোষের ছেলে।