ত্রিপুরার রাজনীতিতে পরিবর্তনের ছোঁয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে : মানিক সরকার

আগরতলা, ২ জানুয়ারি: ত্রিপুরার রাজনীতিতে পরিবর্তনের ছোঁয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সিপিআইএমের বিভিন্ন সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ক্রমে বৃদ্ধি পাওয়াই তার উদাহরণ। কারণ, মানুষ বুঝতে পেরেছে বিজেপি সরকারের ফাঁদে আর পা দেওয়া যাবে না। আজ আম্বেদকরের প্রতি অপমানজনক মন্তব্যের প্রতিবাদে আগরতলা টাউন হলে আয়োজিত জনসমাবেশে এমনটাই দাবি করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার। সাথে তিনি সারা রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের ঝড় তোলার আহবান জানিয়েছেন।

এদিন তিনি বলেন, সিপিআইএমের বিভিন্ন কনভেশনে ক্রমে ক্রমে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তা থেকে স্পষ্ট ত্রিপুরার রাজনীতিতে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। কারণ, ত্রিপুরাবাসী বুঝতে পেরেছেন আরএসএস পরিচালিত বিজেপি সরকার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তাঁরা এখনো পর্যন্ত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করে নি। তারা ভেবেছিল মুনশিয়ানাভাবে নির্বাচনী ইস্তেহারে তৈরী করলেই মানুষ বিজেপি সরকারের প্রতি আকৃষ্ট হবে। কিন্তু সেই ষড়যন্ত্রে বেশি লাভ হয়নি তাঁদের।

তাঁর কথায়, কেন্দ্র বিজেপি সরকার ক্ষমতায় থাকলেও বিভিন্ন রাজ্যের সমস্যা সমাধান করতে পারছে না। কারণ, তাঁদের প্রতিশ্রুতি পালনে সরকার সাহায্য করছে না। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ত্রিপুরায় নির্বাচনী জনসমাবেশের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী কেন্দ্র সরকার আর্থিক সাহায্য করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কারণ, তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল মানুষকে বিভ্রান্ত করে যেকোনোভাবে মসনদে বসা।

এদিন তিনি বলেন, ২০১৮ সালে বিজেপি সরকার দেওয়া একটিও প্রতিশ্রুতি পালন করছেন না। বিজেপি তরফ থেকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ক্ষমতায় আসলে সরকার কর্মচারীদের সপ্তম পে কমিশন দেওয়া হবে। আর এই লালসার দিকেই পা বাড়িয়েছিলেন তৎকালীন সময়ে সরকারী কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সপ্তম পে কমিশন কার্যকরী করে নি বিজেপি সরকার। তাছাড়া, ২০১৮ সালে বিজেপি সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ৩০০ টাকা রেগার মজুরি প্রদান করবে। এখনো পর্যন্ত তাও পূরণ করে নি। এখন ত্রিপুরায় রেগার মজুরি ২৪০ টাকা হয়েছে। তাই তিনি জনগণকে সহজে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আবেদন করেন।

এদিন তিনি আরও বলেন, জনগণ যখন বুঝতে পেরেছেন বিজেপি সরকার ফাঁদে পা দেওয়া উচিত নয় তখনই সরকার পরিবর্তনের লড়াই ক্রমে ক্রমে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাঁর কথায়, লোভ লালসার ফাঁদে পা না বাড়িয়ে আগামী দিনে এই লড়াইকে আরও জোরদার করে তুলতে হবে। সারা রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের ঝড় তুলতে হবে।