কলকাতা, ২৩ ডিসেম্বর (হি.স.): চলে যেতে বসা বছরটায় বেশ কিছু বিপর্যয় ও দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে বিশ্বের কিছু অঞ্চল। ভারতেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গল থেকে ওয়েনাড ভূমিধস। এসবের কয়েকটির উল্লেখ—
১ জানুয়ারি, জাপানে ভূমিকম্প-
বিভিন্ন দেশ যখন বর্ষবরণের আনন্দে মেতে ওঠে সেসময়ই প্রকৃতির রুদ্ররোষে পড়ে জাপান। বছরের প্রথম দিনেই ৭.৬ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে উদীয়মান সূর্যের দেশ। আঘাত হানে সুনামিও। প্রাকৃতিক বিপর্যয় প্রাণ হারান শতাধিক মানুষ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বিস্তর।
***
৩ এপ্রিল তাইওয়ানে ভূমিকম্প—
ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তাইওয়ান। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৭.৪। মৃত্যু হয় ১০০-র কাছাকাছি মানুষের। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বড় বড় হোটেল। ফাটল ধরে একাধিক রাস্তাতে। গত ২৫ বছরের মধ্যে এটাই তাইওয়ানে হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।
***
৫ মে, বন্যায় বিধ্বস্ত ব্রাজিল—
ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে ব্রাজিল। সঙ্গে দোসর প্রবল বর্ষণ। প্রকৃতির রুদ্ররোষে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়। ঘরছাড়া প্রায় দেড় লক্ষ। প্লাবনে তলিয়ে গ্রামের পর গ্রাম। বন্যার জেরে ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলে জলের তলায় চলে যায়। এই প্রদেশের রাজধানী তথা ব্রাজিলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর পোর্তো আলেগ্রের অবস্থা ছিল সবচেয়ে খারাপ। সব মিলিয়ে অন্তত ৪৯৭টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত ৮০ বছরের মধ্যে এটাই ব্রাজিলের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা।
***
৩০ জুলাই, ওয়েনাডে ভূমিধ্বস—
কাদা মাটিতে ডুবে যায় গ্রামের পর গ্রাম। খেলনার মতো ভেসে যায় বাড়ি, গাড়ি। নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় রাস্তা, বিচ্ছিন্ন হয় যোগাযোগ। তছনছ হয়ে যায় ছবির মতো ওয়েনাড।
ক্রমেই লম্বা হয় মৃ্ত্যুমিছিল। ওয়েনাডে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় ৩০০।
***
২০ ডিসেম্বর, ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গাল—
এর জেরে যা বৃষ্টি হয়, ৩০ বছরে তত বৃষ্টি হয়নি! জলের নীচে চলে যায় পুদুচেরি, উদ্ধারে নামে সেনাবাহিনী ও এনডিআরএফ।
***
২০ ডিসেম্বর, জার্মানিতে বিস্ফোরণ—
উৎসবমুখর জার্মানিতে ‘জঙ্গি’র গাড়ি হামলায় মৃত অন্তত ৫। ৭ ভারতীয়-সহ আহত ২০০-র ওপর। ম্যাগডেবার্গ শহরে ক্রিসমাস মার্কেটে আচমকা কালো রঙের বিএমডব্লু নিয়ে হামলা চালায় এক ব্যক্তি।
***
২১ ডিসেম্বর, ব্রাজিলে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা—
দক্ষিন ব্রাজিলের মিনাস গেরাইসে অঞ্চলে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে আগুন লাগে বাসে। মৃত্যু হয় অন্তত ২২ জনের। আহত হন আরও ১৩ জন।
***
২২ ডিসেম্বর, ব্রাজিলে বিমান দুর্ঘটনা—
সাও পাওলো শহরের মধ্যে ভেঙে পড়ে বিমান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একই পরিবারের ১০ জনের৷ আহত হন ১৭ জন৷ তাঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দক্ষিণ ব্রাজিলের গ্রামাদো শহরের ঘটনা এটি৷