আগরতলা, ১৬ ডিসেম্বর : এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ওই গৃহবধূ নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় স্বামী রাজু দাস তাকে আইজিএম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা গৃহবধূ সীমা দাসকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপর মৃতার মা রাজুর বিরুদ্ধে সীমাকে হত্যার অভিযোগ তুলেন।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, গতকাল গৃহবধূ সীমা দাস নিজের মা কে ফোন করে অসুস্থ বোধ হওয়ার কথা প্রকাশ করেছিল। তখন তার স্বামী বাড়িতে ছিল না। কিন্তু রাতে তার অসুস্থতা বেড়ে যায়। তখন তাঁর স্বামী সীমার মা কে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকা সীমা দাসকে তাঁর স্বামী আইজিএম হাসপাতালে নিয়ে আসে সেখানে চিকিৎসকরা গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
প্রসঙ্গত, প্রায় ১০ বছর আগে যোগেন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা রাজু দাসের সঙ্গে সামাজিকভাবে বিয়ে হয় সীমা দাসের। তাদের এক সন্তান রয়েছে। কিন্তু রাজুর আর্থিক অবস্থা ততটা ভালো না থাকায় কিছু ক্ষেত্রে সীমাকে নিজের মা ও ভাইয়ের উপর নির্ভর করতে হতো।
এদিকে, রাজু প্রায়ই বাড়িতে মদমত্ত অবস্থায় ফিরতো এবং সীমার সাথে খারাপ আচরণ করত বলে জানায় মৃতার পরিবার। সীমা দাসের মা অভিযোগ করেন তাঁর মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। জামাতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে বিচারের দাবি করেন তিনি।
স্বামী রাজুকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, হঠাৎ করেই এভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল সীমা। কিন্তু হাসপাতালে আনার আগেই হয়তো মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে।
এদিকে, গৃহবধূর মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ময়না তদন্তের রিপোর্ট থেকেই সীমার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে আশায় রয়েছে তাঁর পরিবার।