কুমারঘাট, ১৬ ডিসেম্বর : উনকোটি এবং উত্তর জেলার সংযোগে মধ্যবর্তী অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত কুমারঘাট শহর এলাকাতে দ্রুত অত্যাধুনিক অতিথি শালা নির্মাণের দাবি উঠেছে। সার্বিক দিক থেকে এই শহর থেকে দুই জেলায় যোগাযোগ সহজ হয়। কিন্তু কুমারঘাটে কোনো সরকারি অতিথিশালা না থাকায় পর্যটকদের অতিরিক্ত টাকা খরচ করে ব্যক্তি মালিকানাধীন হোটেলগুলিতে রাত্রি যাপন করতে হচ্ছে। তাই শহরের জনগণ রাজ্য পর্যটন দপ্তরের নিকট এই দাবি করছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে কৈলাসহর মহকুমাকে দ্বিখন্ডিত করে পৃথক কুমারঘাট মহকুমা গঠন করা হয়। রাজ্য পর্যটন দপ্তরের আয়ত্তে থাকা দেও টুরিস্ট লজ বন্ধ করে দিয়ে সেখানে কুমারঘাট মহকুমা অফিস চালু করা হয়েছিল। অন্যদিকে কুমারঘাট থানার পাশে আরেকটি টুরিস্ট লজ ছিল যা বন্ধ করে মহকুমা পুলিশ অফিসারের অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এদিকে, পর্যটন দপ্তরের অধীনে থাকা কুমারঘাটের দুটি অতিথিশালা বা পান্থ নিবাস বন্ধ হয়ে বিকল্প কোনো সরকারি অতিথিশালা না থাকায় এই শহরে আসা পর্যটকরা অতিরিক্ত টাকা খরচ করে ব্যক্তি মালিকানাধীন হোটেলগুলিতে রাত্রি যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।
এদিকে, বর্তমানে মহকুমা পুলিশ অফিসারের অফিস স্থানান্তর করা হলেও পর্যটন দপ্তরের ওই অতিথিশালাটি অযত্নে পড়ে রয়েছে। থাকার ব্যবস্থা নেই। রাজ্য এবং বহিঃরাজ্যের পর্যটকরা উনকোটি জেলা এবং উত্তর জেলা ভ্রমণে এলে তাদের রাত্রি যাপনের জন্য সুবুধাজনক স্থান কুমারঘাট। ভৌগোলিক দিক দিয়ে এই দুই জেলার সংযোগের ক্ষেত্রে মধ্যবর্তী স্থান হবার কারণে এবং কুমারঘাট থেকে রেল এবং সড়ক পথে রাজ্য ও বহিঃ রাজ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকার কারণেই পর্যটকরা কুমারঘাট শহরে রাত্রি যাপন করে। কিন্তু এই শহরে নেই কোনও সরকারী অতিথিশালা না রাজ্য এবং বহিঃরাজ্য থেকে আসা পর্যটকরা অতিরিক্ত টাকা খরচ করে বেসরকারী হোটেলে রাত্রি যাপন করতে চায় না।
জোট সরকারের সময়ে পঁয়ত্রিশ বছর পূর্বে তথ্য ও পর্যটন দপ্তর কুমারঘাটে দুইটি অতিথি নিবাস তৈরি করেছিল। সেই সময় এই অতিথি নিবাসগুলিতে রাজ্য এবং বহিঃরাজ্যের পর্যটকরা রাত্রি যাপন করতে পারতো। বেসরকারী হোটেলগুলির তুলনায় এই অতিথিশালাগুলির রুমের ভাড়া কম ছিল বলে সেগুলিতে পর্যটকদের ভিড় থাকতো প্রায় প্রতিদিন। কিন্তু বর্তমানে থানা সংলগ্ন পান্থ নিবাসটি ভূতুরে বাড়িতে পরিণত হয়েছে।
এই বিষয়গুলো নিয়ে বিবেচনা করে কুমারঘাট এলাকার বুদ্ধিজীবী মহলের অভিমত হল, কুমারঘাট শহর এলাকায় যেহেতু পর্যটন দপ্তরের নিজস্ব জমি রয়েছে সেই হিসাবে এই শহরে একটি অত্যাধুনিক যাত্রী নিবাস তৈরি করা যায়। এই যাত্রী নিবাস তৈরি করা হলে যাত্রী নিবাসকে কেন্দ্র করে দোকান পাট বসবে আর সৃষ্টি’ হবে কর্মসংস্থানের। কুমারঘাটের জনগণের দাবি, রাজ্য পর্যটন দপ্তর যেন কুমারঘাট শহর এলাকাতে একটি অত্যাধুনিক অতিথি শালা নির্মাণ করে।