আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের জন্য জিরো টলারেন্স কৌশল ও জিরো টলারেন্স পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর

নতুনদিল্লি, ৩০শে নভেম্বর : কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ শুক্রবার ওড়িশার ভুবনেশ্বরে ৫৯ তম ডিজিএসপি/আইজিএসপি সম্মেলন ২০২৪ এর উদ্বোধন করেছেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে এই সন্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হাইব্রিড পদ্ধতিতে আয়োজিত এই সম্মেলনে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ডিজিএসপি/আইজিএসপি এবং সিএপিএফ/সিপিও-র প্রধানরা উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবও এই আলোচনায় অংশ নেন।

এই উপলক্ষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর আধিকারিকদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে সাফল্যের সাথে পরিষেবা প্রদানের জন্য পুলিশ পদক প্রদান করেন। তাছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের র‍্যাঙ্কিং অফ পুলিশ স্টেশনস ২০২৪’ বইটির আবরণ উন্মোচন করেন।  সেই সাথে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সেরা তিনটি থানাকে ট্রফি প্রদান করেন।

উদ্বোধনী ভাষণে অমিত শাহ ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা এবং তিনটি নতুন ফৌজদারি আইন নির্বিঘ্নে কার্যকর করার জন্য পুলিশ আধিকারিকদের অভিনন্দন জানান। 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল সহ হিংসাদীর্ণ বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য পুলিশ আধিকারিকদের সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

অমিত শাহ বলেন, নতুন তিনটি ফৌজদারি আইন দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে আরোবেশি গ্রহনযোগ্য করে তুলেছে। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন যে, নতুন আইনগুলির চেতনা ভারতীয় ঐতিহ্যের মধ্যে নিহিত।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ২০৪৭ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘বিকাশিত ভারত “-এর স্বপ্ন পূরণে এবং ২০২৭ সালের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবার পথে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোড়দার করা, অনুপ্রবেশ রুখতে আরো কঠোর মনোভাবাপন্ন হওয়া এবং শহর এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় আরো বেশী নজর দেওয়া উচিত। শ্রী শাহ জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের জন্য জিরো টলারেন্স কৌশল এবং জিরো টলারেন্স পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

সম্মেলনের পরবর্তী দুই দিনে বামপন্থী চরমপন্থা, উপকূলীয় নিরাপত্তা, মাদক সংক্রান্ত অপরাধ, সাইবার অপরাধ এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সহ সম্ভাব্য নানা অপরাধ দমনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করতে পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা একটি রোডম্যাপ তৈরি করবেন। নতুন ফৌজদারি আইন রূপায়ণের অগ্রগতি এবং পুলিশি ব্যবস্থায় উদ্যোগ ও তা রুপায়নে সর্বোচ্চ কি ধরনের ব্যবস্থা গৃহীত হবে আগামী দু ‘দিনে সেই বিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে।