নয়াদিল্লি, ২৮ নভেম্বর: বাংলাদেশে সনাতনীদের নিরাপত্তায় পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে ইউনূস সরকার। সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের একজন শীর্ষ নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি নিয়ে এভাবেই বিষোদগার করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি, তিনি আদালত চত্বরে আইনজীবীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে এভাবেই তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিন্দায় মুখর হয়েছেন। তাঁর কথায়, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত এবং অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী ইউনূস সরকার মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতেও পুরোপুরি ব্যর্থ।
এদিনের বিবৃতিতে তিনি লিখেন,একজন আইনজীবী তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিল। আর তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। তারা যেই হোক না কেন শাস্তি তাদের পেতেই হবে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে দ্রুত শাস্তি দিতে হবে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।
এদিন তিনি আরও লিখেন, অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী ইউনূস সরকার যদি এই সন্ত্রাসীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তাকেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। তিনি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে আহবান করেছেন। বর্তমান ক্ষমতা দখলকারীরা সর্বক্ষেত্রেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ এই সরকার। সাধারণ মানুষের উপরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের একজন শীর্ষ নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে। চট্টগ্রামে মন্দির পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে মসজিদ, মাজার, গির্জা, মঠ এবং আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি আক্রমণ করে ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী, ছাত্র-জনতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করার পরে চলছে হামলা-মামলা ও গ্রেফতারের মাধ্যমে হয়রানি। তিনি এসব নৈরাজ্যবাদী ক্রিয়াকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।