খুমুলুঙ, ১৩ নভেম্বর : স্বশাসিত জেলা পরিষদের উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে আজ ১৩ নভেম্বর ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০টি স্মোক হাউস করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের নির্বাহী সদস্য কমল কলই একথা জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান এই স্মোক হাউসের মাধ্যমে রাবার তৈরী করে বাজারজাত করা ফলে উপযুক্ত মূল্য পাওয়া জন্যে স্মোক হাউস এর গুরুত্ব অপরিসীম বলে উল্লেখ করেন নির্বাহী সদস্য। তিনি আরো জানান এক একটি স্মোক হাউসকে কেন্দ্র বিন্দু করে প্রায় ২০০টি পরিবার নিয়ে পরিকল্পনার সুবিধার্থে সমিতি গঠন করে সমিতি হাতে কার্যবার তোলে দেওয়া হবে।
আজ সাংবাদিক সম্মেলনে উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের নির্বাহী সদস্য জানান ডম্বুর জলাশয়ে অনুষ্ঠিত তীর্থ মেলাকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনায় জনসমাবেশ হয়। এই তীর্থ মেলায় আগত অতিথিদের থাকার জন্যে অতিথি শালা তথা গেস্ট হাউস তৈরী করা হবে অতি শীঘ্রই। তিনি সম্মেলনে আরো জানান রাজ্য সরকার হইতে এডিসি প্রশাসনের কাছে টাকা পাঠানো হয়েছে তাই সকলের সুবিধার্থে অতি সত্ত্বর তৈরী করার প্রয়াস জারী রয়েছে এডিসি প্রশাসনের। সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উল্লেখ করেন “রাইমা সাইমা’ নামের এই অতিথি শালা সম্পন্ন করতে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্বাহী সদস্য কমল কলই সাংবাদিক সম্মেলনে খেরেংবার সি এস সি হসপিটালে প্রত্যন্ত এলাকার রোগীদের পরিষেবা বাড়ানোর লক্ষ্যে তিনতলা বিশিষ্ট নির্মিত হসপিটলকে চারতলা বিশিষ্ট করা হবে বলে জানান। এতে ১০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। স্বশাসিত জেলা পরিষদ এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পে রাজ্য সরকার কর্তৃক প্রায় ৮০ কোটি টাকা এডিসি প্রশাসনের মাধ্যমে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের টাকা অনুমোদন করাই রাজ্য সরকারকে সাধুবাদ জানান। তিনি আরো উল্লেখ করেন প্রত্যন্ত এলাকার রোগীদের পরিষেবা দেওয়া লক্ষ্যে মোবাইল মেডিকেল ইউনিট চালু হওয়া সত্ত্বে ও বিভিন্ন সমস্যার কারণে বন্ধ থাকা পরিষেবা পুনরায় চালু করা হবে। এই পরিষেবা চালু করার ফলে জনসাধারণের উপকৃত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন সম্মেলনে নির্বাহী সদস্য।
আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যানাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যনির্বাহী আধিকারিক সি. কে. জমাতিয়া ও উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের প্রধান আধিকারিক বুধুলিয়ানা রাঙ্ঙ্খল প্রমুখ।