আগরতলা, ৯ নভেম্বর: অসমে সুপারি সিন্ডিকেটের বাড়বাড়ন্তে বিপাকে ত্রিপুরার সুপারি চাষী ও ব্যবসায়ীরা। ত্রিপুরা থেকে সুুপারি রপ্তানির ক্ষেত্রে অসমে দফায় দফায় কাঠমানি নেওয়ার অভিযোগ তুললেন রাজ্যের এক সুপারী ব্যাবসায়ী। এতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ত্রিপুরার সুপারি চাষী ও ব্যাবসায়ীদেরকে।
ত্রিপুরা থেকে অসমে সুপারি রপ্তানি করতে গিয়ে চরম সমস্যার মুখে রাজ্যের সুপারি ব্যবসায়ীরা। এতেকরে ফসলের উপযুক্ত মূল্য পাচ্ছেননা পার্বত্য রাজ্যের সুপারি চাষীরা। অসমে সুপারি সিন্টিগেটের আভিযোগ ত্রিপুরার সুপারি ব্যবসায়ীদের।ত্রিপুরার অর্থকরী ফসলের মধ্যে সুপারি অন্যতম। পার্বত্য ত্রিপুরায় সুপারি চাষ করে তা বাজারজাত করার মধ্যদিয়ে জিবীকা নির্বাহ করেন অনেকেই। বহিঃরাজ্য বিশেষ করে অসম রাজ্যে সবচাইতে বেশি রপ্তানি হয়ে আসছে এই সুপারি। কিন্তু বর্তমানে অসমে সুপারি সিন্টিগেট শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ ত্রিপুরার সুপারি ব্যাবসাহীদের। এর প্রভাব পড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে। ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট মহকুমাতেও এনিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে ব্যাবসাহীদেরকে।
স্থানীয় পাবিয়াছড়া বাজারে সুপারি নিয়ে আসা নিতাই শিল নামে এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করলেন, অসম রাজ্যে সুপারি পাঠাতে গেলে উপযুক্ত জিএসটি দিয়েও গাড়ী প্রতি ষাট হাজার টাকা যেমন দিতে হয় অসমের সুপারি সিন্টিগেইটকে তেমনি অসম গেইটে আরো চল্লিশ হাজার টাকা কাঠমানি দিতে হয় বলে অভিযোগ করলেন ঐ ব্যাবসাহী। তিনি জানিয়েছেন শুধু সড়ক পথের ঝামেলাই নয়, রেল পথে সুপারী পরিবহনের ক্ষেত্রেও আনুমতি দিচ্ছেনা সরকার। এতে করে সুপারী ব্যবসায়ীদেরকে চরম সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ।অসম সরকারের তুঘলকি সিদ্ধান্তের ফলে বিগত কয়েকমাস ধরে ত্রিপুরা থেকে সুপারি আর অসমমুখী করেননা ব্যাবসাহীরা।
কুমারঘাট মহকুমা অঞ্চলের বিভিন্ন চাষীদের থেকে সুপারি কিনে তা পাইকারী দরে বিক্রি করেই সংসার চলে ব্যবসায়ী নিতাই শিলের। কিন্তু বর্তমানে রাজ্যের বাইরে সুপারি বিক্রি বন্ধ থাকায় তার রোজগারে যেমন টান পড়েছে তেমনি ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকেও বঞ্চিত হতে হচ্ছে ত্রিপুরার সুপারি চাষীদেরকে। ব্যবসায়ীদের দাবী ট্রেনে সুপারি রপ্তানি চালু করা সহ সুপারি সিন্টিগেইট বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিয়ে ব্যাবসাহীদের আগের মতো ব্যাবসা করার সুযোগ করে দিক সরকার।
বাইরের বাজারে সুপারি রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় স্থানীয় বাজারেও পড়ছে এর প্রভাব। ফলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে চাষীদেরকে। এই অবস্থায় সরকার কোন পদক্ষেপ নেয় কিনা তাই এখন দেখার।