কুমারঘাট, ৫ নভেম্বর : সরকারের উপর চাপ বাড়াতে গ্রাহকদের হয়ে মাঠে নামলো বিরোধী দল কংগ্রেস। বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি প্রত্যাহার এবং বকেয়া বিদ্যুৎ বিল কিস্তিতে পরিশোধ করা সহ পাঁচ দফা দাবীতে কুমারঘাটে বিদ্যুৎ নিগম অফিসের সামনে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন দিলো কংগ্রেস। বিদ্যুৎ ভোক্তাদের সাথে প্রতারনা করছে ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম। প্রিপেইড মিটার রিচার্জে বকেয়া টাকা সংগ্রহের নামে গ্রাহকদের থেকে কেটে নিচ্ছে অধিক অর্থ। মূলত এই অভিযোগ এনে কুমারঘাটে আন্দোলনে ঝাপালো পাবিয়াছড়া ব্লক কংগ্রেস।
উল্লেখ্য বেশ কিছুদিন ধরেই বিদ্যুৎ বিলের নামে অতিরিক্ত টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগে রাজ্যের সর্বত্রই গ্রাহকদের অভিযোগের কাঠগড়ায় বিদ্যুৎ নিগম। এক হাজার টাকা কিংবা তার বেশি দিয়ে রিচার্জ করেও গ্রাহকরা কেউ কেউ পাচ্ছেন ছয় ইউনিট কেউবা আবার কুড়ি ইউনিট। এনিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে গ্রাহকদের মধ্যে। গোটা রাজ্যের সাথে ঊনকোটি জেলার কুমারঘাটের অবস্থাও তথৈবচ। এনিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রাহকরা।
এই অবস্থায় মঙ্গলবার কুমারঘাটে নিগমের ডিজিএমের কাছে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দিলো পাবিয়াছড়া ব্লক কংগ্রেস কমিটি। মূলত বকেয়া বিদ্যুৎ বিল কিস্তিতে গ্রহন করা, ফটিকরায়ে একটি বিলিং কাউন্টার চালু করা, বিদ্যুতের বেসরকারীকরন বন্ধ করা, বর্ধিত বিদ্যুৎ মাশুল প্রত্যাহার করা, মিটার রেন্ট ও সার্ভিস চার্জ বাতিল করার দাবীতে হয় কংগ্রেসের এদিনের আন্দোলন কর্মসূচী। সেখানে এক প্রতিনিধি দল নিগমের ডিজিএম নিতাই দেব্বর্মার সঙ্গে দেখা করে তুলে দেন দাবী সনদ।
উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সম্পাদক সত্যবান দাস, পাবিয়াছড়া ব্লক যুব কংগ্রেস সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী, পাবিয়াছড়া ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অসিত দেব সহ অন্যান্যরা। দাবী পূরন না হলে আগামীদিনে আন্দোলন আরো তেজী হবে বলে জানিয়েছেন নেতৃত্ব।এদিকে বিল নিয়ে চলা সমস্যার দায় নিগমের বলে প্রকারান্তরে স্বিকার করলেন ডিজিএম।
তিনি জানিয়েছেন সফ্টওয়ারে সমস্যার কারনে এমনটা হচ্ছে। জনস্বার্থ সম্বলিত দাবী নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিজিএম। গ্রাহকদের এই সমস্যার পর এই বিষয়কে হাতিয়ার করেই এবারে মাঠে নেমেছে বিরোধী রাজনৈতিক দল। আন্দোলনের মধ্যদিয়ে এদিন কার্যত সরকারের উপরও চাপ বাড়ালো বিরোধী দল। রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ নিগমের তুঘলকি কাণ্ডের পর সরকার বা বিদ্যুৎ নিগম এখন কি পদক্ষেপ নেবে সেটাই দেখার।