BRAKING NEWS

রাজ্যে সব্জির অগ্নিমূল্য, কনজিউমার রিড্রেসাল ফোরামের রাস্তা দেখালেন খাদ্য মন্ত্রী

আগরতলা, ৩০ অক্টোবর :  রাজ্যে সব্জির অগ্নিমূল্যে শুধু সরকারের উপর নির্ভর থাকলে চলবে না। এক্ষেত্রে ভোক্তাদের সচেতন থাকতে হবে। মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে কনজিউমার রিড্রেসাল ফোরামের দ্বারস্ত হোন। প্রতিবাদ করুন। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে এভাবেই রাজ্যের জনগণকে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিকারে কনজিউমার ফোরামের রাস্তা দেখালেন খাদ্য মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

এদিন রাজ্যে ক্রমবর্ধমান পেঁয়াজ ও শাক সব্জির দাম সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, শাক সব্জির দাম বিভিন্ন জিনিসের উপর নির্ভর করে। এর পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে পেঁয়াজ রাজ্যে আসে। তাই স্থান ভেদে বিভিন্ন জায়গায় পরিবহন খরচ ও আমদানি শুল্ক মিলিয়ে দামও ভিন্ন হয়। যার ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এমনকি মহারাষ্ট্র থেকে বের হওয়ার পর বিভিন্ন রাজ্যে এই দাম বিভিন্ন রকম হয়।

মন্ত্রী আরো বলেন, দপ্তরের কর্মীরা কালোবাজারি রুখতে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। রাজ্যে যেন নির্দিষ্ট দামের বেশি মূল্যে সব্জি বিক্রি না হয় সেইদিকে দপ্তর নজর রাখে। এই প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, শুধু সরকারের উপর নির্ভর থাকলে হবে না। দপ্তরে কর্মী স্বল্পতা রয়েছে। তাই সবকিছু সামলে উঠা সম্ভব নয়। ফলে, মূল্য নিয়ন্ত্রণে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসুন। প্রয়োজনে ভোক্তা সংরক্ষণ ফোরামের দ্বারস্ত হোন। প্রতিবাদ করুন।

এছাড়াও অগ্নিমূল্যে সব্জি বিক্রি হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি আরো দাবি করেন, রাজ্যে বর্তমানে ফলন কম। কৃষকরা সব্জির ফলনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, কিন্তু বন্যার জলে সব ভেসে গেছে। ফলে লাভের থেকে কৃষকের লোকশান বেশি হয়েছে। সাথে তিনি যোগ করেন, রাজ্যে সব্জির সংকট থাকায় শাক সব্জি অন্য রাজ্য থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। ফলে রাজ্যের বাজারে পৌছাতে ওই দাম আরো বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বাজারে শাক সব্জি, আলু, পেঁয়াজ সবকিছুরই মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। মন্ত্রীর কথায়, এই মূল্যবৃদ্ধি স্বাভাবিক, মাঝে মধ্যে বাজারে এধরনের জিনিসপত্রের দামের তারতম্য লক্ষ্য করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *