নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ অক্টোবর: আগামীকাল ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরে দীপাবলি উৎসব ও মেলার উদ্বোধন মাতাবাড়ি ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির প্রাঙ্গণে আগামীকাল থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত দীপাবলি উৎসব ও মেলা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। আজ ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির প্রাঙ্গণে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান দীপাবলি উৎসব ও মেলা কমিটির চেয়ারম্যান বিধায়ক অভিষেক দেবরায়।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, আগামীকাল সন্ধ্যায় কল্যাণ সাগর পাড়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা কল্যাণ আরতিতে অংশগ্রহণ করবেন এবং সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মুখ্যমন্ত্রী ধন্যমানিক মুক্ত মঙ্গে প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে মেলার সূচনা করবেন। মেলা চলবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত।
সাংবাদিক সম্মেলনে মেলা কমিটির চেয়ারম্যান জানান, মেলায় মোট ১৮টি সরকারি দপ্তরের স্টল থাকবে। মন্দির পরিসরে পুণ্যার্থীদের ভীড় নিয়ন্ত্রণে ১ হাজার ভলান্টিয়ার সর্বদা তৎপর থাকবেন। এছাড়া পুণ্যার্থীদের মন্দিরে প্রবেশের সুবিধার্থে প্রবেশ এবং বহিঃর্গমনের দখ নির্দিষ্ট করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ৩ দিন ব্যাপী এই উৎসব ও মেলা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এলইডি স্ক্রিন এর মাধ্যমে লাইভ টেলিকাস্ট করা হবে।
এছাড়া মেলা প্রাঙ্গনেও ২টি জায়গায় এলইডি স্ক্রিন এর মাধ্যমে মেলার অনুষ্ঠান লাইভ দেখানো হবে। ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে আরতি ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভিডিও রেকর্ডিং করা হবে। মেলা চত্বর থেকে শুরু করে পুনার্থীদের আগমনের রাস্তা উদয়পুর সুভাষ সেতু পর্যন্ত আধুনিক আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে। দর্শণার্থীদের জন্য পানিয়জল ও শৌচাগারের ব্যবস্থাও রয়েছে মেলায়। ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভিটি বন্টনের প্রক্রিয়া চলছে। এ বছর মোট ৬৩৯টি দোকান ভিটিতে ব্যবসায়ীরা তাঁদের সামগ্রী নিয়ে বসবেন। মেলায় ২ হাজারেরও বেশি টিএসআর, পুলিশ সহ কুইক রেনপন্স টিম নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে মেলা প্রাঙ্গনে থাকবে স্বাস্থ্য কর্মীগণ। দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় থাকবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এছাড়া মেলায় ধন্যমানিক মুক্ত মঞ্চে ৩ দিন ব্যাপি রাজ্যের এবং বহিঃরাজ্যের শিল্পীদের দ্বারা পরিবেশিত হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এবারের মেলায় রাজ্যের ও বহিঃরাজ্যের ২ হাজারেরও বেশি শিল্পী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে। সাংবাদিক সম্মেলনে গোমতি জিলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায় এই মেলাকে সুষ্ট ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার নমিত পাঠক জানান, মাতাবাড়ি দিওয়ালি মেলায় যাতে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তারজন্য আগে থেকেই নজরদারি বাড়ানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া থাকছে পুলিশ ওয়াচ টাওয়ার, পুলিশ কমান্ড পোস্ট এবং পুলিশ বুখ। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মেলার প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৪৭টি সিসি টিভির মাধ্যমে নজর রাখা হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গোমতী জিলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি সুজন কুমার সেন, উদয়পুর পুর পরিষদের চেয়ারপারসন শীতল চন্দ্র মজুমদার, মাতাবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শিল্পী দাস, গোমতী জেলার জেলা শাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহ অধিকর্তা মনোজ দেববর্মা প্রমুখ।