আগরতলা, ২৮ অক্টোবর : দেশের পুঁজিপতিদের টাকায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় টিকে রয়েছে। তাঁদের নির্দেশেই চলছে বর্তমান সরকার। রাজ্যে শান্তি সম্প্রীতি রক্ষার্থে সোনামুড়ায় সিপিএমের সমাবেশে এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার।
এদিন জনসমাবেশে মানিক সরকার বলেন, বিগত ৪১ বছরে ত্রিপুরাবাসী ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয় নি। বন্যার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যবাসী। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি। কয়েকবার কেন্দ্রীয় টিম বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নি। তাই এরকম পরিস্থিতে দাঁড়িয়ে জনগণকে একত্রে প্রতিবাদে সামিল হতে হবে। তাঁর কথায়, দেশের পুঁজিপতিদের টাকায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় টিকে রয়েছে। তাঁদের নির্দেশেই চলছে এই সরকার।
তাঁর অভিযোগ , কেন্দ্রে ও রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু রাজ্যে কাজ নেই , চাকুরী নেই। বেকাররা চাকরি খুঁজে বেড়াচ্ছে। এদিকে, হাসপাতালে চিকিত্সক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী এবং বিদ্যালয় শিক্ষক স্বল্পতা ভুগছে।গত ৭ বছরে বিজেপি রাজ্যের উন্নয়নে কাজ করেনি কিন্তু রাজ্যে জাতি উপজাতিদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। ত্রিপুরারা শান্তি সম্প্রীতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে । তাঁদের এই পরিকল্পনায় জয়ী হতে দেওয়া যাবে না। প্রতিনিয়ত মন্দির ও মসজিদে হামলা চালানো হচ্ছে। আরো অভিযোগ, রাজ্যের যুবক যুবতীরা চাকুরী থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ।কারণ, টাকার বিনিময়ে বিজেপি চাকুরী বিলি করছে । বহি:রাজ্যের যুবক যুবতীরা বাঁকা পথে পিআরটিসি বানিয়ে রাজ্যে চাকুরী নিচ্ছেন।
তাঁর কথায়, বিজেপি ও দুর্নীতি সমার্থক শব্দ হয়ে গিয়েছে। ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের পর তাঁদের দুর্নীতি আরো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা নেই। টাকার বিনিময়ে মামলা মিমাংসা করা হচ্ছে। বর্তমানে বিজেপির লোকদের মধ্যে বিবাদ হচ্ছে। বিজেপির লোক বিজেপির লোকদের আক্রমন করছেন। পাশাপাশি, বিজেপির সরকারের ক্ষমতায় নেশায় সাম্রাজে ভাসছে ত্রিপুরা। জনগনের মনে ক্ষোভ বাড়ছে। ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে বৈতরণী পার করতে সাহায্য করেছিল তিপরা মথা না হলে বিজেপির হার নিশ্চিত ছিল।
এদিন তিনি আরো বলেন, রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। কিছু দিন আগে কদমতলায় চাঁদা আদায়কে কেন্দ্রে করে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে গোটা রাজ্য। এমতাবস্থায় নীরব থাকতে পারবে না সিপিএম। কারণ নীরবে থাকার রাজনীতি কমিউনিস্ট করে না বলে দাবি করেন তিনি। রাজ্যে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখতে একসাথে লড়াই করতে চায় সিপিএম। বিজেপির বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে জাতি বর্ণ নির্বিশেষে একত্রে লড়াই করতে হবে।