কলকাতা, ২৭ অক্টোবর (হি. স.) : আগামী উৎসবের দিনগুলোতে আনন্দে মেতে উঠতে গিয়ে যেন পকেট ফাঁকা না হয় এই পরামর্শ কলকাতা পুলিশের। মূলত সাইবার প্রতারণার খপ্পরে পড়তে মানা। এর থেকে সাবধান থাকতেই চটজলদি পরামর্শ, কলকাতা পুলিশের কাছে সবিস্তারে অল্প সময়ের মধ্যেই তা জানাতে আহ্বান। রবিবার এ নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার ভার্মা এ প্রসঙ্গে জানান, ঘটনার পর দেরি হয়ে গেলে গায়েব হয়ে যাওয়া টাকা উদ্ধার করতে গিয়ে জটিলতা বাড়ে। ঘটনার অব্যবহিত পরেই তার জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হলেই বরং সুবিধা মেলে। যদিও রবিবার ছুটির দিনেই কেনাকাটাতে ব্যস্ত আম জনতা। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে সিংহভাগ অপরাধীরা তৎপর। সক্রিয় হয়ে ওঠে অনলাইন কেনাকাটার সময়েই সংশ্লিষ্ট অপরাধীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে যদিও সচেতনতা বাড়াতে পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার নির্দেশ, – কালীপুজো, দেওয়ালি ও ছট পূজো ছাড়াও বাকি রয়েছে জগদ্ধাত্রী পুজো। তাদের কড়া নজর সেদিকেই, ওত পেতে থাকে। একটানা উৎসবের মরসুমকে কাজে লাগাতে বরাবর তৎপর হয় সাইবার প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত সব অপরাধীরা। অনলাইন কেনাকাটাতে ব্যস্ত ক্রেতা সাধারণের কাছে তাই এমন আর্জি, কেনাকাটার আগে একাধিকবার পরখ করে নিয়েই সবশেষে পেমেন্ট করলে সুবিধা এবং ফাঁদে পড়ার যে সম্ভাবনা অনেকাংশে তা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন পুলিশ কমিশনার শ্রী ভার্মা। তিনি আরও বলেন, এই বিশেষ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষকে বেকুব বানাতে ওস্তাদের কারসাজি থেকে রেহাই মেলে। মুহূর্তের মধ্যে একাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে যায়। কলকাতা পুলিশের সাইবার শাখা সদা জাগ্রত রয়েছে। এদিকে, চোখের পলক না ফেলতেই বিপত্তি বাধে। এই সুযোগকে আটকাতে দরকার ক্রেতাদের সচেতনতা। কেনাকাটার পর বিল পেমেন্ট করতে গিয়ে বারবার চেক করে সঠিকভাবে পেমেন্ট করে দিন। সর্বোপরি নিজেকে ও পরিবারকে এবং সম্প্রদায়কে বাঁচাতে সত্যিই তৎপর হোন।