কলকাতা, ২৭ অক্টোবর (হি.স.): গারিঞ্চা। প্রখ্যাত এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের জন্ম ২৮ অক্টোবর ১৯৩৩। অনেকের মতে পেলের পর তাকে ব্রাজিলের দ্বিতীয় সেরা ফুটবলার হিসেবে গণ্য করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁকে সর্বকালের সেরা প্লেয়ারদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে সর্বোচ্চ গোলদাতার গোল্ডেন বুট ও সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল জেতেন ১৯৬২-তে।ব্রাজিলের হয়ে পঞ্চাশটি ম্যাচে অংশ নিয়ে হেরেছেন মাত্র একটি ম্যাচে। ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৬৬ এই তিনটি বিশ্বকাপে তিনি খেলেছেন। বিশ্বকাপে রয়েছে তার পাঁচ গোল।
জন্মগতভাবে গ্যারিঞ্চার ডান পা তাঁর বাঁ পায়ের চেয়ে ৬ সেন্টিমিটার খাটো ছিল। জন্মগত এই ত্রুটিকে তিনি শক্তিতে রূপান্তর করে নিজেকে বিশ্ব ফুটবলে পরিণত করেছিলেন অসাধারণ এক ড্রিবলারে।
ছোটখাটো গড়নের গ্যারিঞ্চার নাম হয়েছে ম্যাগেইয়ের এক ধরনের ছোট পাখির নামানুসারেই। ১৯৩৩ সালে রিও ডি জেনেইরোর এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম তাঁর। শারীরিক ত্রুটি নিয়ে জন্ম নেওয়া এই খেলোয়াড়কে থামিয়ে রাখতে পারেনি প্রতিবন্ধকতা। ড্রিবলিং আর সুন্দর ফুটবল লেগে থাকতো তার পায়ে। ব্রাজিলের হয়ে জিতেছেন বিশ্বকাপ। হয়েছেন সর্বোচ্চ গোলদাতা-সেরা খেলোয়াড়। তাই শেষ জীবনটা খুব ভালো যায়নি তার। অর্থাভাবে জীবনযাপন করেছেন। প্রায় বিনা চিকিৎসায় মাত্র ৫০ বছর বয়সে লিভারের রোগে ভুগে প্রয়াত হন তিনি।