নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ২২ অক্টোবর: খোয়াইএর লালছড়াতে মোমবাতি তৈরি করে সংসার প্রতি পালনের পাশাপাশি নিজে স্বনির্ভর হয়ে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ১০৩২৩ চাকুরিচ্যুত শিক্ষক সুমন দাস। আর সামনে আলোর উৎসবকে কেন্দ্র করে উনার মোমবাতির চাহিদাও তুঙ্গে ।
কালীপুজো মানেই আলোর উৎসব। সেদিন আলোক মালায় সেজে উঠবে গোটা বিশ্ব।
এই আলোর উৎসবকে আরও রঙিন করে তুলতে বাজারে নানা রংয়ের বৈদ্যুতিক আলোর পাশাপাশি সমানতালে বিক্রি হয় রং-বেরঙের মোমবাতি। আর এই আলোর উৎসবে মোমবাতি বিক্রিতে আয় হবে কয়েকগুণ। কেননা চাহিদাও তুঙ্গে রয়েছে। বর্তমানে এই আশায় প্রহর গুনছেন ১০৩২৩ এর চাকরিচ্যুত শিক্ষক সুমন দাস। খোয়াইয়ের লালছড়া নিবাসী এই শিক্ষক এক সময়ে চাকুরিচ্যুত হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন।
কিন্তু নিরাশ না হয়ে এই উদ্যমী যুবক চাকরি হারিয়ে নিজেকে স্বনির্ভর করে তুলতে শুরু করেন মোমবাতি তৈরির কাজ। আজ থেকে পাঁচ বছর আগে নিজ বাড়িতেই সে মোমবাতি তৈরির সরঞ্জামে এনে এই কাজ শুরু করার পর চাকুরী হারানোর বেদনা ভুলে যান। বর্তমান উনার হাতে তৈরি মোমবাতির কদর রয়েছে খোয়াই বাজারে। শুধু তিনিনএকাই স্বাবলম্বন হননি। উনার কারখানায় বর্তমানে দিনরাত কাজ করছেন ১০ থেকে ১২ জন মহিলা।
উদ্যমী সুমন দাস জানান আগে শুধু কালীপুজোর সময় মোমবাতির চাহিদা থাকত। বর্তমানে সারা বছরই অল্পবিস্তর মোমবাতির চাহিদা থাকায় বছরভর মোমবাতি তৈরি করতে হয়। তবে কালীপুজোর সময় কাজের চাপ অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে যায়। তিনি আশা করেন, এ বছর ব্যবসা ভাল হবে। চাকরি হারিয়ে বসে না থেকে সত্যিই আজ সমাজে এক এক নজির গড়লেন খোয়াই লাল ছড়া এলাকার চাকুরিচ্যুত শিক্ষক সুমন দাস।