হিঙ্গলগঞ্জ, ২২ অক্টোবর (হি.স.): সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা আগের ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এবার ঘূর্ণিঝড় ‘দানা”-র আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা। বিশেষ করে সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জের উপর এই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। স্থানীয় দুলদুলি, সাহেবখালি সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষজন ইতিমধ্যেই আতঙ্কিত। তাদের অভিযোগ, বহুদিন ধরেই নদী বাঁধের সংস্কার হয়নি। সামান্য ঝড়-বৃষ্টি হলেই বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় আশপাশের অঞ্চল।
রায়মঙ্গল ও কালিন্দী নদীর বাঁধগুলির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। কোথাও বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে, আবার কোথাও বাঁধের বড় অংশ ধুয়ে গিয়েছে নদীতে। এমন অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় দানা আছড়ে পড়লে বাঁধ নদীর জলের চাপ ধরে রাখতে পারবে না, এবং বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই এলাকার অনেক চাষি সবে ধানের চাষ শুরু করেছেন। তারা বলছেন, বাঁধ ভেঙে গেলে তাদের ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাবে। স্থানীয় বাসিন্দা অনিল কয়াল, ভবেশ চন্দ্র মন্ডল ও মলয় মন্ডল জানিয়েছেন, নদী বাঁধের বেহাল দশা নিয়ে বহুদিন ধরে অভিযোগ করা হলেও প্রশাসন তাতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বাঁধ ভেঙে গেলে তাদের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও দেবদাস গাঙ্গুলী জানিয়েছেন, প্রশাসন ঘূর্ণিঝড় দানার মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছে। ত্রাণ ও উদ্ধার কাজের জন্য বিশেষ দল প্রস্তুত রয়েছে, এবং প্রয়োজন হলে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।