নয়াদিল্লি, ২২ অক্টোবর : জনজাতি শিক্ষার্থীদের জন্য জাতীয় শিক্ষা সমিতি (এন ই এস টি এস) আজ নয়াদিল্লিতে ত্রিপুরা সহ দেশের মোট আটটি রাজ্যের পঞ্চাশটি একলব্য আদর্শ আবাসিক বিদ্যালয় (ই এম আর এস)-র জন্য চালু করলো তৃতীয় পর্যায়ের ‘অ্যামাজন ভবিষ্যৎ প্রকৌশলী/ইঞ্জিনিয়ার কর্মসূচি’|এই পর্যায়ে প্রতিবন্ধক শৃঙ্খল, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত্বা, সংকেতায়ন, ব্লক প্রোগ্রামিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত্বা পর্ব নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া যুক্ত করা হয়েছে| এর পাশাপাশি এন ই এস টি এস –এর আয়ুক্ত অজিত কুমার শ্রীবাস্তব চারদিনের বহুমুখী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন| এতে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা, ই এম আর এস কোডার্স এক্সপো, বিগত বছরে ই এম আর এস-এর কুড়িটি শীর্ষ কোডিং প্রকল্পের প্রদর্শনীও রয়েছে|
এই উপলক্ষে এন ই এস টি এস-এর আয়ুক্ত অজিত কুমার শ্রীবাস্তব উদীয়মান প্রযুক্তি সম্পর্কে শিক্ষাদানে প্রয়োজনীয় দক্ষতাসহ জনজাতি শিক্ষাদানকারীদের ক্ষমতায়নের গুরুত্ব বিষয়ে আলোকপাত করেন| তিনি কোডিঙ প্রজেক্ট বা সংকেতায়ন প্রকল্পে নিজেদের সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবন দক্ষতায় সেরা তিন শিক্ষার্থীকে সম্বর্ধিত করেন| একইসঙ্গে সারা বছর শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা কাজে সনিষ্ঠতায় যুক্ত থাকা সেরা তিন তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষককেও সম্বর্ধিত করা হয়|
অ্যামাজন ভবিষ্যৎ প্রকৌশলী/ইঞ্জিনিয়ার কর্মসূচির তৃতীয় পর্যায় দেশের চারশো দশটি প্রস্তাবিত ই এম আর এস-এ একসঙ্গে চালু করা হবে। অ্যামাজন ভবিষ্যৎ প্রকৌশলী/ইঞ্জিনিয়ার কর্মসূচি দুই বছর ধরে চলছে| ইতিমধ্যেই ষষ্ঠ থেকে অষ্টম মানের সাতহাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীকে কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং ব্লক প্রোগ্রামিং সংক্রান্ত মৌলিক বিষয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে| পঞ্চাশজনেরও বেশি শিক্ষককে পূর্ববর্তী ধাপে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে ষষ্ঠ থেকে নবম মানের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবন্ধক শৃঙ্খল, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত্বা, সংকেতায়ন, ব্লক প্রোগ্রামিং অন্তর্ভূক্ত করার জন্য পাঠ্যক্রমকে সম্প্রসারিত করা হবে। পরবর্তী পর্যায়ে সিবিএসই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত্বায় দক্ষতা সংক্রান্ত সহপাঠ্যক্রমের সঙ্গে একযোগে দশম মানের শিক্ষার্থীদের জন্যও প্রকল্প-ভিত্তিক অতিরিক্ত ভার্চুয়াল পর্বের সংস্থান করা হবে।
প্রসঙ্গতঃ এন ই এস টি এস সারা দেশে জনজাতি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তিগত সাক্ষরতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার আধুনিকীকরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই সক্ষমতা-নির্মাণ কর্মসূচীর মাধ্যমে, এন ই এস টি এস-এর লক্ষ্য হল জনজাতি ছাত্রদের এস টি ই এম -এর ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের জন্য ভালোভাবে তৈরী করে তোলার মাধ্যমে দেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে অবদান রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা।