ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা।। শঙ্কাটাই বাস্তবায়িত হলো ত্রিপুরার পক্ষে। সফরকারী কর্ণাটক অনেকটা ছেলে খেলা খেলে ত্রিপুরাকে ইনিংস সহ ১৩১ রানের বিশাল ব্যবধানে এক প্রকার গো-হারা হারিয়ে বোনাস পয়েন্ট পর্যন্ত ছিনিয়ে নিয়েছে। প্রথম ইনিংসে ত্রিপুরা ব্যাটার্সরা এক প্রকার উইকেট ছেড়ে আসলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অনেকটা সাবালকের মত ভুল শুধরে খেলার চেষ্টা করে স্কোর ৩৪৫ পর্যন্ত তুলতে সক্ষম হলেও ইনিংস পরাজয়ের কালিমা কাটিয়ে তোলা সম্ভব হয়নি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াই করার মানসিকতা প্রকারান্তরে পরের ম্যাচের আগে মানসিক শক্তি বাড়াবে বলে মনে করছেন প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। দুরন্ত ব্যাট করলেও এদিন দুর্ভাগ্য ওপেনার ঋতুরাজ ঘোষ রায় এবং মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সপ্তজিৎ দাস-এর। মাত্র ৫ রানের জন্য ঋতুরাজ শতরান থেকে এবং সপ্তজিৎ চার রানের জন্য অর্ধশতরান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। শেষ দিকে অভিজিৎ দেববর্মা দুরন্ত ব্যাটিং করেছেন। মূলতঃ এই তিনজনের পাশাপাশি আনন্দ ভৌমিকের হাত ধরে দ্বিতীয় ইনিংসে ত্রিপুরা ৩৪৫ রান করল। অনূর্ধ্ব-২৩ কর্নেল সি কে নাইডু ট্রফি ক্রিকেটে। ম্যাচের ত্রিপুরা পরাজিত হলো ইনিংস এবং ১৩১ রানে। শক্তিশালী কর্নাটকের বিরুদ্ধে। নরসিংগড় পুলিশ ট্রেনিং একাডেমি মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে কর্নাটকের গড়া ৫৮০ রানের জবাবে ত্রিপুরা প্রথম ইনিংসের মাত্র ১০৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। ৪৭৬ রানে পিছিয়ে থেকে ত্রিপুরা দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৪৫ রান করে। ত্রিপুরার পক্ষে ঋতুরাজ ঘোষ রায় ৯৫, অভিজিৎ দেববর্মা ৫৯ আনন্দ ভৌমিক ৫৪ রান করেন। ১ উইকেটে ৪০ রান নিয়ে মঙ্গলবার ম্যাচের তৃতীয় দিনে খেলতে নেমে ত্রিপুরার ব্যাটসম্যানরা এক কথায় দুরন্ত ব্যাটিং করেন। দিনের শুরুতেই ঋতুরাজ ঘোষ রায় এবং আনন্দ ভৌমিক ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করে ত্রিপুরাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। দ্বিতীয় উইকেটে এই জুটি ২১৪ বল খেলে ১২১ রান যোগ করেন। ঋতুরাজ ১৯৬ বল খেলে ১১ টি বাউন্ডারি ও ২ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৯৫ এবং আনন্দ ১০০ গোল খেলে পাঁচটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৪ রান করেন। মিডল অর্ডারে অরিন্দম বর্মন ৪৫ বল খেলে ৪ টি বাউন্ডারি সাহায্যে ২১ এবং সপ্তজিৎ দাস ৫৪ বল খেলে পাঁচটি বাউন্ডারি ও ১টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৬ রান করেন। দলের হয়ে ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নামা অভিজিৎ দেববর্মা ৯৩ বল খেলে আটটি বাউন্ডারি ও দুটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৯ এবং দীপ্তনু চক্রবর্তী ৫৮ বল খেলে চারটি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮ (অপ:) রান করেন। ত্রিপুরা ১০০.৫ ওভার ব্যাট করে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৪৫ রান করে। কর্নাটকের পক্ষে পারস গুরুবক্স আর্য ১১২ রানে ছয়টি এবং শশী কুমার কে ১২৮ রনে তিনটি উইকেট দখল করেন। ইনিংসে জয় পেয়ে বোনাস সহ ৭ পয়েন্ট পেল কর্ণাটক। ত্রিপুরা আসরের প্রথম দুই ম্যাচেই পরাজয়ের মুখ দেখলো। ২৭-৩০ অক্টোবর ত্রিপুরা আসরের তৃতীয় ম্যাচ খেলবে শক্তিশালী তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে। নরসিংগড় পুলিশ ট্রেনিং আকাডেমি মাঠে হবে ম্যাচটি। হারলেও ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্সে খুশি কোচ জয়ন্ত দেবনাথ। তবে আফসোস প্রথম ইনিংসে যদি ব্যাটসম্যান-রা জ্বলে উঠতে পারতো। তিনি বলেন, দ্বিতীয় ইনিংসে ছেলেরা যেভাবে ব্যাট করলো তাতে দলীয় ক্রিকেটারদের মানসিক শক্তি বেড়েছে। যা পরের ম্যাচগুলোতে ভালো খেলতে সাহায্য করবে। এদিকে গ্রুপের অপর খেলায় তামিলনাড়ু ইনিংস সহ ৮৩ রানের ব্যবধানে চন্ডিগড় কে পরাজিত করেছে। কেরালা ৫২১ রানে ইনিংস ঘোষণা করলে জবাবে উত্তরাখন্ড ২৬ ওভারে ১০৫ রান সংগ্রহ করেছে। মহারাষ্ট্র প্রথম ইনিংসে লিভ নিয়েছে ওড়িশার বিরুদ্ধে। ১৭৫ রানে পিছিয়ে থেকে ওড়িশা ইনিংস পরাজয় এড়ানোর লক্ষ্যে লড়ছে।