BRAKING NEWS

রাজ্যে মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তোলার উপর সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ অক্টোবর: আগে কন্যা সন্তানকে সমাজের বোঝা মনে করা হতো। তাদের অবহেলা করা হতো। কন্যা ভ্রুণ হত্যা করা হতো। এই ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও অভিযানের ডাক দিয়েছেন। বর্তমানে এটি একটি স্লোগান নয়, একটি আন্দোলন। আজ উদয়পুরের রাজর্ষি হলে গোমতী জেলাভিত্তিক বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচির উদ্বোধন করে একথা বলেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়।

গোমতী জেলা প্রশাসন, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং জেলা সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে অর্থমন্ত্রী বলেন, মহিলাদের সার্বিক বিকাশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন। রাজ্যে মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তোলার উপর সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের রাজ্যেও খুব গুরুত্ব দিয়ে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচি রূপায়ণ করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন মহিলারা সমাজের সকল স্তরে সফলতার সঙ্গে কাজ করছেন। লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণে গোমতী জেলা খুব ভালো কাজ করছে। সবার সহযোগিতায় এটা সম্ভব হয়েছে। এখন মেয়েদের শিক্ষার হার বেড়েছে। মেয়েদের স্কুলে আসার জন্য সরকার সাইকেল দিচ্ছে। কলেজে ভর্তির জন্য মেয়েদের আর ফি দিতে হয় না। চাকরি ক্ষেত্রে মেয়েদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুখমন্ত্রী যুব যোগাযোগ যোজনার মাধ্যমে কলেজ ছাত্রীদের মোবাইল ফোন কেনার জন্য সাহায্য করা হচ্ছে। তিনি বলেন, স্বসহায়ক দলের মাধ্যমে মহিলাদের স্বশক্তিকরণে কাজ চলছে। বর্তমানে ত্রিপুরাতে প্রায় ৫ লক্ষ মহিলা স্বসহায়ক দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। রাজ্যে ১ লক্ষ দিদিকে লাখপতি দিদি বানানোর জন্য কাজ চলছে। রাজ্যে এখন প্রায় ৮৩,০০০ দিদি লাখপতি হয়ে গেছেন।

অনুষ্ঠানে বিধায়ক অভিষেক দেবরায় বলেন, মহিলা স্বশক্তিকরণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করে চলেছেন। মেয়ে সন্তানদের অবহেলা না করে তাদের যত্ন নিতে হবে। রক্তাল্পতা মুক্ত ভারত গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। এখন মৃত্যুর হার অনেক কমেছে। অনুষ্ঠানে উদয়পুর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন শীতল চন্দ্র মজুমদার বলেন, মেয়েরা এখন আর পিছিয়ে নেই। তাদেরকে স্বনির্ভর করে তুলতে হবে। সমাজের সকল ক্ষেত্রে মেয়েরা আজ সফলতার সঙ্গে কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গোমতী জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (পিপি) বিনয় ভূষণ দাস সহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিগণ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গোমতী জেলার জেলাশাসক তড়িৎকান্তি চাকমা। সভাপতিত্ব করেন গোমতী জিলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায়। সমাজের বিভিন্ন বিভাগ যেমন শিক্ষা, খেলাধুলা, সংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য অনুষ্ঠানে ২০০ জন ছাত্রী এবং মহিলাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *