BRAKING NEWS

সিএএ-বিরোধী মামলায় বিধায়ক অখিল সহ চারজনের বিরুদ্ধে এনআইএর বিশেষ আদালতে ফ্রেমড্ অভিযোগ

গুয়াহাটি, ২২ অক্টোবর (হি.স.) : শিবসাগরের বর্তমান বিধায়ক তথা তদানীন্তন কৃষকনেতা অখিল গগৈ এবং তাঁর তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে ‘নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন’ (সিএএ)-বিরোধী আন্দোলন মামলায় ‘জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা’ (এনআইএ)-র বিশেষ আদালত আজ মঙ্গলবার ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধি (আইপিসি) এবং বেআইনি কাৰ্যকলাপ প্ৰতিরোধ (ইউএপিএ) আইনে রুজুকৃত ধারার অধীনে অভিযোগ ফ্রেম করেছে।

এ ব্যাপারে অখিল গগৈয়ের কৌঁসুলি শান্তনু বড়ঠাকুর জানান, এনআইএর বিশেষ আদালতের বিচারক এসকে শর্মা তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের ধারা ১৮ (ষড়যন্ত্র) এবং ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ১৫৩এ (প্ৰমোশন অব এনমিটি বা শত্রুতার প্রসার) এবং ১৫৪বি (জাতীয়-সংহতি বিনষ্ট) ধারা বলে অভিযোগ ফ্রেম করেছেন।

এছাড়া অখিল গগৈয়ের সহযোদ্ধা ধৈর্য কোঁওর, বিট্টু সনোয়াল এবং মানস কোঁওরের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-র ১৮ (ষড়যন্ত্র) এবং ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারার অধীনে অভিযোগ ফ্রেম করেছেন এনআইএ-র বিশেষ বিচারক এসকে শর্মা।

কৌঁসুলি শান্তনু বড়ঠাকুর বলেন, এখন আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিচার প্রক্রিয়া চলবে। প্রমাণ উপস্থাপনের পাশাপাশি সাক্ষীদের বয়ান নেবেন মহামান্য আদালত।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রামের হোতা কৃষক মুক্তি সংগ্ৰাম সমিতির সভাপতি অখিল গগৈয়ের বিরুদ্ধে ওই সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ এক মামলা রুজু করেছিল। এর পর ১৬ ডিসেম্বর কৃষক নেতা অখিলকে দেশদ্ৰোহী মামলায় গ্ৰেফতার করেছিল এনআইএ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১২০ বি (অপরাধজনিত ষড়যন্ত্ৰ), ১২৪ এ (দোশদ্ৰোহ), ১৫৩ এ (বেআইনি) এবং ১৫৩ বি (বেআইনি কাৰ্যকলাপ প্ৰতিরোধ) আইনের ধারা ১৮ ও ৩৯ ডি-র অধীনে ১৩/২০১৯ নম্বরে মামলা রুজু করে চার্জশিট জমা করেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। একই অভিযোগে কৃষক মুক্তি সংগ্ৰাম সমিতির কেন্দ্ৰীয় সাধারণ সম্পাদক মানস কোঁওর, ধৈৰ্য কোঁওর এবং বিট্টু সনোয়ালকেও গ্রেফতার করেছিল এনআইএ।

প্রায় বছরখানেক পর জামিনে মুক্তি পেয়ে ‘রাইজর দল’ (জনতার দল) নামে এক আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল গঠন করেন অখিল গগৈ। পরবৰ্তীতে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শিবসাগর আসনে নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *