কলকাতা, ২১ অক্টোবর (হি.স.) : সংস্কার ভারতীর অখিল ভারতীয় অধ্যক্ষ হলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বেহালাবাদক ডঃ মৈসুর মঞ্জুনাথ। গত ১৯-২০ অক্টোবর ২০২৪-এ আয়োজিত রাজস্থানের জয়পুরে অখিল ভারতীয় সাধারণ সভায় ২০২৪-২০২৭ পর্যন্ত সংস্কার ভারতীর অখিল ভারতীয় অধ্যক্ষের (সভাপতি) দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বেহালা বাদক ডঃ মৈসুর মঞ্জুনাথ। ডঃ মৈসুর মঞ্জুনাথ-এর জন্ম মহীশূরে। বেহালাবাদক পণ্ডিত এস. মহাদেওপ্পা’র সুযোগ্য পুত্র ও শিষ্য। আট বছর বয়সে প্রথম সঙ্গীতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। উনি মহীশূর ব্রাদার্স -এর একজন। ভারত সরকার প্রদত্ত সঙ্গীত নাটক একাডেমী পুরস্কারে সম্মানিত। তিন দিনের সাধারণ সভায় পুনরায় মহামন্ত্রী বা সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন বিশিষ্ট সুরবাহার বাদক ডঃ অশ্বিন এম. দলভী। সহ সভাপতি বা উপাধ্যক্ষ মনোনীত হয়েছেন বিশিষ্ট গবেষক চিন্তাবিদ ডঃ রবীন্দ্র ভারতী, অভিনেতা শ্রী নীতিশ ভরদ্বাজ, শ্রীমতী হেমলতা এস. মোহন। অখিল ভারতীয় সংগঠন সম্পাদক শ্রী অভিজিৎ গোখলে। এছাড়াও অখিল ভারতীয় সংস্কার ভারতীর নবগঠিত সম্পাদকমণ্ডলীতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে নীলাঞ্জনা রায়, মহারাষ্ট্র থেকে রবীন্দ্র বেডেকর, আশুতোষ আডোনী, ঝাড়খণ্ড থেকে সঞ্জয় চৌধুরী দিল্লি থেকে অনুপম ভাটনগর। আগামী তিন বছর সংস্কার ভারতী ভারতের সনাতন শাশ্বত সংস্কৃতি রক্ষায় কী ভাবে কাজ করবে তার একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।মূলত মঞ্চীয়কলা, দৃশ্যকলা, লোককলা, সাহিত্য ও কলা ধরোহর। এই পাঁচটি কলাবিধা কে অবলম্বন করে সংস্কার ভারতী তার কাজের বিস্তার ঘটাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। দেশের প্রতিটি রাজ্যের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত উৎসব গুলিকে বিশেষ মর্যাদা ও গুরুত্ব দিয়ে পালন করার পরিকল্পনা হয়। পাশাপাশি মাঘীপূর্ণিমায় ‘ভরতমুনি স্মরণজয়ন্তী’ ও গুরুপূর্ণিমায় ‘নটরাজ পূজন’ অবশ্য পালনীয় হিসাবে সর্ব সন্মতি ক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ।পাশাপাশি ২৬ জানুয়ারি ভারত মাতা পূজন অনুষ্ঠান যথাযথভাবে পালন করার ঘোষণা করা হয়। অখিল ভারতীয় সাধারণ সভায় পশ্চিমবঙ্গ প্রান্ত সমিতির থেকে সভাপতি ডঃ সরূপ প্রসাদ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক তিলক সেনগুপ্ত, কোষাধ্যক্ষ গোপাল কুণ্ডু উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বাংলা জুড়ে সংস্কার ভারতীর কাজে প্রশাসনিক অসহযোগিতার বিষয়টি উল্লেখিত হয়।