পাথরপ্রতিমা, ১৯ অক্টোবর (হি.স.): আর জি করের ঘটনা নিয়ে যখন গোটা দেশ উত্তাল, সেই আর জি কর আবহে আবারও এক নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা পাথরপ্রতিমা গদামথুরাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। শুক্রবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এ বিষয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ও শনিবার তাকে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
নির্যাতিতার পরিবার সূত্রের খবর, শুক্রবার ঢোলাহাট থানার অন্তর্গত এক নাবালিকা ছাত্রীকে সাপে কামড়ায়, এরপর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই নাবালিকা ছাত্রীর পরিবারের লোকজনেরা প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর জন্য গদামথুরাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ওই নাবালিকাকে নিয়ে যায়। নাবালিকার অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে তাকে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেই সময় ওই গদামথুরাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র চত্বরের এক অ্যাম্বুলেন্স চালক যুবক ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে। নাবালিকা ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা ঢোলাহাট থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এ বিষয়ে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঢোলাহাট থানার পুলিশ অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেফতার করেন।
অভিযুক্ত ওই অ্যাম্বুলেন্স চালকের নাম পবিত্র মন্ডল। অভিযুক্ত ওই যুবকের বাড়ি ঢোলারহাট থানার অন্তর্গত দিগম্বরপুর এলাকায়। সুন্দরবনের পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই যুবক পেশায় অ্যাম্বুলেন্স চালক। শুক্রবার ওই যুবকের বিরুদ্ধে নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ঢোলাহাট থানাতে। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। শনিবার কাকদ্বীপ মহকুমার আদালতে তোলা হয় অভিযুক্তকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসীরা।