BRAKING NEWS

মঞ্চে প্রশাসনের কর্তারা, জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন প্রত্যাহারের আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা, ১৯ অক্টোবর (হি.স.): অনশনের ১৫ তম দিনে শনিবার দুপুর দুটো নাগাদ জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্না মঞ্চে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী।  অনশন মঞ্চে বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা মুখ্যসচিবের। জুনিয়র ডাক্তারদেরও বার্তা দেন তিনি। কোথায়, কতটা কাজ হয়েছে তা আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

শুক্রবার সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেই বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তারেরা জানিয়ে দিয়েছেন, সোমবার পর্যন্ত সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। ওই সময়ের মধ্যে সাড়া না মিললে মঙ্গলবার হাসপাতালে হাসপাতালে সর্বাত্মক ধর্মঘট হবে। সেই ধর্মঘট পালন করবেন সিনিয়র এবং জুনিয়র ডাক্তারেরা। ওই হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টা কাটতে না-কাটতেই অনশনমঞ্চে গেলেনরাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকেরা।

ধর্মতলার অনশন মঞ্চে মনোজ-নন্দিনীর সঙ্গে ছিলেন ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। অনশনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের জানিয়ে দেন, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের অপসারণ ছাড়া আন্দোলনকারীদের সব দাবির সঙ্গেই সহমত তিনি।

এদিন অনশনকারী চিকিৎসকদের ফোনে বলেন, “আপনাদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত। আমি আপনাদের শুভকামনা করছি। সাধ্যমতো যতটা পারব, সহযোগিতা করব। আন্দোলন করা আপনাদের অধিকার। পাঁচটা দাবির মধ্যে চারটি মেনে নিয়েছে। একটি দফতর থেকে সবাইকে একসঙ্গে সরিয়ে দিলে দফতরটা চলতে পারে না। সরকারেরও কিছু ব্যাপার আছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি বলব, তাড়াতাড়ি আন্দোলন থেকে বেরিয়ে আসুন। এটা আমার অনুরোধ। মানবেন কী মানবেন না, সেটা আপনাদের ব্যাপার। আমি চাই পরেরবার থেকে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে একসঙ্গে নির্বাচন হোক। কালীপুজো, দীপাবলি, উপনির্বাচন আছে। আমি কথা দিচ্ছি, ৩-৪ মাস সময় দিন। আপনাদের সমস্যাগুলো নিশ্চয়ই দেখে নেব। আপনাদেরও পরীক্ষা আছে। পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। আন্দোলন থেকে সরে আসুন। আদালতে মামলা চলছে। সুবিচার মিলবে।”

ধর্মতলার মঞ্চে গিয়ে এদিন অনশনকারীদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি, আন্দোলনকারীদের দাবিদাওয়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *