হাফলং (অসম), ১৮ অক্টোবর (হি.স.) : লামডিং-বদরপুর হিল সেকশনে পুনরায় স্বাভাবিক হয়েছে ট্রেন চলাচল। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল চারটা নাগাদ লামডিং ডিভিশনের অধীন ডিমা হাসাও জেলার অন্তর্গত দিবালং স্টেশনের ক্রসিং পয়েন্টে ইঞ্জিন সহ ১২৫২০ নম্বর আগরতলা-মুম্বাই লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেসের সাতটি বগি এবং পাওয়ার ভ্যান লাইনচ্যুত হওয়ার জেরে পাহাড় লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছিল।
অবশেষে দুর্ঘটনাস্থল দিবালং স্টেশনের ক্রসিং পয়েন্টে রেলওয়ে ট্র্যাক মেরামতি করে প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর লামডিং-বদরপুর হিল সেকশনে ট্রেন চলাচল পুনরায় স্বাভাবিক হয়েছে।
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানিয়েছেন, আজ (শুক্রবার) রেলওয়ে ট্র্যাক মেরামতি করে ট্র্যাক সার্টিফিকেট দেওয়ার পর সকাল ৯-টা ৪৮ মিনিট নাগাদ ১২৫০৩ নম্বর বেঙ্গালুরু ক্যান্ট হামসফর এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাস্থল পার হয়ে গেছে। বর্তমানে পাহাড় লাইনে রেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানান, গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকাল চারটা নাগাদ ডিমা হাসাও জেলাধীন দিবালং স্টেশনের ক্রসিং পয়েন্টে দুর্ভাগ্যবশত লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। দুর্ঘটনার ফলে লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন সহ সাতটি বগি ও পাওয়ার ভ্যান লাইনচ্যুত হলেও সৌভাগ্যবশত ট্রেনের কোনও যাত্রী নিহত বা গুরুতরভাবে আহত হননি। তবে দুর্ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর-পরই উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের পক্ষ থেকে বিশেষ ট্রেনে করে লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেসের যাত্রীদের লামডিং নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত যাত্রীদের লামডিং স্টেশনে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। পরবর্তীতে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেসের যাত্রীদের নিজেদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক।
বৃহস্পতিবার লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ার দরুন গতকাল এবং আজ (শুক্রবার) বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করার পাশাপাশি কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেনের সময়সূচি পুর্ণনির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে ঠিক কী কারণে এবং কার ভুলে এই দুর্ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে, এ নিয়ে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে কিছুই জানা যায়নি। প্রশ্ন উঠেছে, পাহাড় লাইনে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলি চলাচলের ক্ষেত্রে গতিবেগ নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে, এমতাবস্থায় কীভাবে লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন সহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে? এ প্ৰশ্নের কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি উত্তরপূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের কাছে।