কলকাতা, ১৩ অক্টোবর (হি. স.) : নিজের জমানো টাকার ভাঁড় নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মতলার অনশন মঞ্চে হাজির এক খুদে। রবিবার জমানো টাকার সেই ভাঁড়টি সে তুলে দিল জুনিয়র ডাক্তারদের হাতে। বলে গেল, ‘ডাক্তার দাদা-দিদিরা অনশন করছে, আমি আমার জমানো টাকা দিয়ে গেলাম। ডাক্তার দাদা-দিদিদের অনশন শেষ হলে ওরা এই টাকা দিয়ে খাবে।’ খুদের এই কীর্তি মনোবল বাড়িয়ে দিল শিশুটি, বললেন অনশনরত জুনিয়র ডাক্তাররা।
রবিবার ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে আসে আট বছরের খুদে রস্মিতা ভট্টাচার্য। হাতে ছিল ছোট্ট ভাঁড়। আর সেই ভাঁড়টা অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের তুলে দেয় খুদে। সেই লক্ষ্মীর ভাঁড়ে রয়েছে গত এক বছর ধরে তার অল্প-অল্প করে জমানো টাকা। সেইসঙ্গে রস্মিতা ডাক্তার দাদা-দিদিদের সঙ্গে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন করছে। এই প্রসঙ্গে জুনিয়র ডাক্তাররা বলেছেন, ‘প্রথমে আমরা ওর জমানো লক্ষ্মীর ভাঁড়ের টাকা নিতে চাইছিলাম না। শেষপর্যন্ত ওর আবদার ফেলতে পারিনি। ওকে কথা দিয়েছি যে অভয়া দিদির বিচারের জন্য যতদূর যেতে হয়, ততদূর যাব আমরা। কিন্তু লড়াই ছাড়ব না। ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে। যতক্ষণ না হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়, ততক্ষণ লড়াই চলবে। এই সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত না পর্যন্ত লড়াই চলবে।’