বাঁকুড়া, ১১ অক্টোবর (হি.স.): অনশনের সপ্তম দিনে অনশনে বসা জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে অন্যতম স্নিগ্ধা হাজরার বাঁকুড়া বাড়িতে শুক্রবার পৌঁছল পুলিশ।
অনশন তুলতে জুনিয়র ডাক্তারদের দফায় দফায় চিঠি দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু কাজ হয়নি কোনও। ১০ দফা দাবিতে প্রতিবাদ চলছেই। চলছে সাত জন চিকিৎসকের আমরণ অনশনও। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি জানিয়েছেন, স্নিগ্ধার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। সেই চিন্তাতেই তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল পুলিশ। তবে পরিবারের কেউ বাড়িতে না থাকায়, দেখা হয়নি।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার স্নিগ্ধার বিয়ে হয়েছে মাস ছয় আগেই। স্বামী দেবাশিস হালদারও এই আন্দোলনের প্রথম সারির যোদ্ধা। তবে তিনি অনশন করছেন না।
বৃহস্পতিবারই আর জি করের চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়। রাতেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এর পরেই স্নিগ্ধা ও বাকিদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ে। তাই বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকালে তাঁর বাড়িতে যায় পুলিশ। কিন্তু কারও দেখা মেলেনি। ফোন করলে স্নিগ্ধার পরিবার জানায়, মেয়ে বড় হয়েছেন এবং বাড়িতে থাকেনও না। তাই মেয়ের সিদ্ধান্তে তাঁরা কিছু বলবেন না।