নিজস্ব প্রতিনিধি, কমলপুর, ৬ অক্টোবর : কমলপুরে দুর্গাপূজা নিয়ে ক্লাবগুলোর মধ্যে ব্যস্ততা এখন চরমে। শিল্পীদের পাশাপাশি মন্ডপ দলের কাজে যুক্ত শিল্পীরা দিনরাত ২৪ ঘণ্টার কাজ করে চলেছেন। রাত পোহালেই দুর্গোৎসব। দুর্গা পূজা মানেই আলাদা অনুভুতি, আনন্দ।
পূজার দিনগুলি দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতে এদিকে যেমন মৃৎশিল্পীরা মৃন্ময়ী মায়ের চিন্ময়ী রূপ দিতে ব্যস্ত। তেমনি কমলপুর শহরের ক্লাবগুলির পূজা প্যান্ডেলের শিল্পীরা সম্পূর্ণ বাস্তবে রূপ দিতে দিবারাত্রি ব্যস্ত। রাজ্যের পুরাতন মহকুমার মধ্যে একটি কমলপুর। এই পুরানো শহরে মূলতঃ ৯টি ক্লাবের দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে তিন দিন মহকুমার প্রত্যন্ত অঞ্চলের দর্শনার্থীদের ভিড় জমে। কমলপুর শহরে পুরাতন ক্লাব গুলির মধ্যে একটি লক্ষীনারায়ণ ক্লাব। শহরের ফুলছড়ি এলাকায় অবস্থিত। গত ৬১বছর ধরে দুর্গাপূজা করে আসছে। এবারো কোন ব্যতিক্রম নয়।
কিন্তু, এবার লক্ষ্মীনারায়ণ ক্লাবের সদস্যরা অন্য মাত্রায় পুজো করতে যাচ্ছে। সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সবকিছু সামঞ্জস্য রেখে পূজার বাজেট ৯ লক্ষ টাকা। স্থানীয় শিল্পীর দ্বারা প্যান্ডেল নির্মাণ করা হচ্ছে বেলুর মঠ আদলে। নারীদের সুরক্ষার বিষয়ের উপর প্রতিমা তৈরী করছেন মৃৎশিল্পী রাজীব ভট্টাচার্য্য। প্রতি বছর পূজার দিন গুলি প্রচুর দর্শনার্থীদের ভিড় হয়। শৃঙ্খলার মধ্যে অতিবাহিত হয় পূজার দিন গুলি। এবারো তাই হবে আশা ব্যক্ত করেন পূজা কমিটির ক্লাব সম্পাদক সুভাষ সেন।