কলকাতা, ৫ অক্টোবর (হি.স.): উৎসব-ভাতায় সাম্প্রদায়িক বিভেদ আনা হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শনিবার তিনি এক্সবার্তায় লিখেছেন, “ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (ডব্লিউবিটিআইডিসিএল) এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (ডব্লিউবিটিসি) জেটি এবং ঘাটগুলির জন্য “জলসাথী-এস” (সিভিক ভলান্টিয়ারের মতো) নিযুক্ত করেছে। সম্পূর্ণরূপে চুক্তিভিত্তিক এই কর্মীরা প্রথা অনুযায়ী জেটি এবং ঘাটগুলিতে যাত্রীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত পদ্ধতির (এসওপি) মানা হচ্ছে কিনা, সেসবের ওপর নজর রাখেন। যেমন জাহাজে যাত্রীর বহণক্ষমতা বজায় রাখা হচ্ছে কি না, লাইফ জ্যাকেট প্রাপ্তির সুযোগ, নৌযান ও জেটিতে প্রাথমিক প্রাথমিক চিকিৎসা, দুর্ঘটনার রিপোর্টিং এবং আবশ্যিক নানা শর্তপালন মেনে চলার বিষয়গুলো দেখাশোনা করেন। তাঁরা যেখানে লোকেরা জাহাজ এবং মোটর চালিত নৌকার মাধ্যমে যাতায়াত করে, গত ৬ বছর ধরে সেই সব জেটি এবং ঘাটে কাজ করছেন। এই বছর জলসাথীদের বোনাস দেওয়ার সময়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার তাঁদের মধ্যে অনৈতিকভাবে বিভেদ তৈরি করেছেন। মুসলমানদের উৎসব চলাকালীন সময়ে যে সকল কর্মচারী বোনাস পাওয়ার যোগ্য ছিলেন তাঁরা ৬,০০০/- করে বোনাস হিসাবে পান। কিন্তু দুর্গাপূজার সময় বোনাস পাওয়ার যোগ্য কর্মচারীরা পেয়েছেন মাত্র ৩,৬০০/-করে।
গত বছর, সিভিক ভলান্টিয়ারদের মধ্যে একটি বৈষম্য তৈরি করা হয়েছিল। কলকাতা পুলিশের সাথে নিযুক্ত ব্যক্তিরা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সাথে নিযুক্ত ব্যক্তিদের চেয়ে বেশি টাকা পেয়েছিলেন। কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে কর্মচারীদের মধ্যে পার্থক্য করা এবং একই শ্রেণীর কর্মচারীদের বিভিন্ন পরিমাণ অর্থ প্রদান অনৈতিক, অসাংবিধানিক এবং অনৈতিক। রাজ্য সরকার এটা করতে পারে না।
আমি দাবি করছি যে হিন্দু কর্মচারীরাও তাঁদের মুসলিম সহকর্মীরা যে পরিমাণ বোনাস পেয়েছেন, তার সমান পরিমাণ বোনাস পান। সিএসটিসি, এনবিএসটিসি এবং এসবিএসটিসি-এর কর্মচারীদের প্রতিও এরকম আচরণ করা হয়েছে।