আগরতলা, ৫ অক্টোবর: দুর্গা পুজোর আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। আর এই পুজোকে কেন্দ্র করে রাজ্যের সর্বত্রই পুজো উদ্যোক্তাদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে ত্রিপুরার কুমারঘাটের বিগ বাজেটের পুজো সুভাষ সংঘ ক্লাব কর্মকর্তাদের মধ্যে।শরতের আগমনের সাথেই কাঠি পড়েছে পুজোর ঢাকে। একটি বছরের অপেক্ষার পর মর্তে আসছেন দেবী দূর্গা।
দশভূজাকে বরন করতে সর্বত্রই তাই সাজো সাজো রব। হিন্দুদের সর্বশ্রেষ্ঠ পার্বনকে ঘিরে বর্তমানে প্রতিটি পূজো উদ্যোগতাদের মধ্যে যেন লেগেছে প্রতিযোগীতার ধুম। ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট মহকুমায় ছোট বড়ো মিলিয়ে শতাধিক পূজো হয়ে থাকে। এরমধ্যে কুমারঘাট শহরের বুকে রয়েছে কয়েকটি বিগ বাজেটের পুজোও।
যারা প্রতিবছরের মতো এবারও থিম পূজোর আয়োজনে নেমেছে। কুমারঘাটের সুভাষ সংঘ ক্লাব বিগ বাজেটের থিম পূজোর তালিকায় অন্যতম। সুভাষ সংঘের পূজোর ৪৬ তম বর্ষে এবছরের থিম রাজস্থানের জৈন মন্দীর। নবদ্বীপের ঊষা ডেকোরেটরের শিল্পীরা ফুটিয়ে তুলছেন রাজস্থানের জৈন মন্দীরকে। আলোকসজ্জা এবং প্রতিমা নির্মানেও নবদ্বীপ থেকে এসেছেন শিল্পীরা। দীর্ঘ প্রায় দেড়মাস ধরে চলছে সমস্ত কাজকর্ম। মণ্ডপের ভেতরে এবং বাইরের কারুকার্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তী। ক্লাব সদস্য আশিষ রায় জানিয়েছেন সব মিলিয়ে এবছরে তাদের পূজোর বাজেট ৩০ লক্ষ টাকা।
তিনি জানিয়েছেন, পূজোর বাজেট বড়ো হলেও সম্প্রতি বন্যা পরিস্থিতে ক্ষয়খতির কারনে এবছর দূরপাল্লার গাড়ী এবং কৃষকদের থেকে কোন চাঁদা সংগ্রহ করছেনা ক্লাব কর্মকর্তারা। এতে পূজোর আয়োজন করে হিমসিম খেতেহচ্ছে তাদের।